মামলার আসামিদের ধরতে প্রথমে প্রেমের অভিনয়, অতঃপর কথায় কথায় একসময় ঠিকানা জোগাড় করে বা দেখা করার কথা বলে আসামিদের গ্রেফতার করেন একজন নারী পুলিশ। অপরাধীদের ধরতে নারী পুলিশদের এই কৌশল ও আন্তরিকতা পুলিশ মহলের পাশাপাশি এখন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীদের কাছেও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
আর অপরাধীদের ধরতে নারী পুলিশের এই কৌশলী ভূমিকা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় অতিরিক্ত একটি কর্ম যোগ্যতা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা। সময়ের সঙ্গে আগের চেয়ে বাংলাদেশ নারী পুলিশের উন্নতি হয়েছে। এখন যে নারীরা পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে আসছেন তাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত।
বাংলাদেশ পুলিশের ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অতিরিক্তি মহাপরিদর্শক (আইজি) ফাতেমা বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এই পেশার প্রতি মানুষের উত্সুক্য বেশি। বিশেষ করে নারীরা যখন পুলিশের পোশাক পরে সড়কে বের হন তখন মানুষ আমাদের দিকে উত্সাহের দৃষ্টিতে তাকান। মেয়েদের জন্য এটি যেমন চ্যালেঞ্জিং পেশা একইভাবে এটি সম্মানজনক একটি পেশা।
উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নারী ও পুরুষ পুলিশের সমান যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মেয়ে হওয়ার জন্য অনেক সময় অযোগ্য হলেও পুরুষ সহকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে নারীরা কষ্ট পান। অথচ সারা দেশের স্পর্শকাতর অনেক নারী নির্যাতনের মামলা তদন্ত থেকে শুরু করে অপরাধীদের গ্রেফতার করছেন নারী পুলিশরা। বড় মামলাগুলোতে পুরুষ সহকর্মীদের তদন্তের কাজেও নারী সহকর্মীরা সহযোগিতা করছেন।
নারী-পুরুষ পুলিশের ক্ষমতাও সমপর্যায়ের। নারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আরও জানা যায়, পুলিশের ইউনিফর্ম পরে একজন নারী যখন রাস্তায় বের হন তখন তিনি যেমন সম্মানিত বোধ করেন তেমনি পুরুষরাও তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ থেকে বিরত থাকেন। তবে দায়িত্ব পালনে নারীদের তরফ থেকে কোনো আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও কাজ করতে গিয়ে এখনো নারী পুলিশদের জন্য নারী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়নি।