রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ লাইন্সে নিজের ইস্যুকৃত অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করা পুলিশ সদস্য শাহ মোহাম্মদ কুদ্দুসের (৩১) বুকে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপর তৈরি করা সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এলাকার বিট অফিসার কাফরুল থানার এসআই মোজাম্মেল হক নিহত কুদ্দুসের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমি ভোরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মাঠে কুদ্দুসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। এরপর ঘটনাস্থল কর্ডন করা হয়। তার বুকে দুটি ছিদ্র রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুদ্দুসের ডিউটি ছিল সকালে। এ জন্য সে একটি ফুল লোডেড এসএমজি বন্দুক রিকুইজিশন নিয়েছিল। সেটি দিয়েই গুলি চালানো হয়েছে। তার বুকে দুটি ছিদ্র ছিল। ভেতরে কয়টি গুলি আছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ ঘটনায় কুদ্দুসের সহকর্মী ও তার কাছাকাছি কয়েকজন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এসআই মোজাম্মেল বলেন, আমরা শুনেছি তিনি অত্যন্ত মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তা থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছি। তবে আমি একটি ফেসবুক পোস্টের কথা শুনেছি, সেটি এখনো দেখিনি।
নায়েক কুদ্দুস ২০১২ সালে কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। তার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ লাইন্স মাঠে নিজের ইস্যুকৃত অস্ত্র দিয়ে নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে বলে জানা গেছে।