আত্মঘাতী গোলে সর্বনাশ জার্মানির

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

দুই হেভিওয়েটের লড়াই। বড় কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত গ্রুপপর্বে দেখা। এমন এক ম্যাচে দুর্ভাগ্য ভর করল জার্মানির ওপর। আত্মঘাতী এক গোলে ম্যাচের শুরুর দিকেই পিছিয়ে পড়ে তারা, যে গোলেই শেষ পর্যন্ত হয়েছে সর্বনাশ।

ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে জোয়াকিম লোর দল।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠে ম্যাচ। ১৭ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা এসেছিল ফ্রান্সের। বক্সের বাঁ দিক থেকে নেয়া কিলিয়ান এমবাপের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার।

তবে পরেরবার আর রক্ষা হয়নি। ২০ মিনিটের মাথায় ম্যাটস হামেলসের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানি। বক্সের বাঁ দিকে লুকাস হার্নান্দেজকে একা দেখে উঁচু করে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পগবা।

হার্নান্দেজ বক্সের মাঝ বরাবর সেই বল বাড়িয়ে দিতে গেলে ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন হামেলস। বল তার পায়ে লেগে চোখের পলকে জড়িয়ে যায় জালে।

 

এর দুই মিনিটের মাথায়ই অবশ্য সমতায় ফিরতে পারতো জার্মানি। কিন্তু রবিন গুসেনসের উঁচু ক্রস ছয় গজ বক্সের মধ্যে পেয়েও বাইরে মেরে দেন থমাস মুলার। ৩৮ মিনিটে গোল শোধের আরও একটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় জার্মানির। আত্মঘাতী গোলের বোঝা মাথায় নিয়েই বিরতিতে যায় জোয়াকিম লর দল।

বল দখল কিংবা শটের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও অপেক্ষাকৃত গোছানো আক্রমণ ছিল ফ্রান্সের। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে আদ্রিয়েনস রাবিওটের শট পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে ২-০-তে এগিয়ে যেতে পারতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এর ঠিক দুই মিনিট পর গোলের সুযোগ মিস করে জার্মানিও। গুসেনসের দারুণ ক্রস দূরের পোস্টে পেয়েছিলেন জিনাব্রি। একটুর জন্য সেটি ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

৮৫ মিনিটে আরও একবার বল জালে জড়ায় ফ্রান্স। পগবার থ্রো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপে আর করিম বেনজেমা। এমবাপের ক্রসে চমৎকার ফিনিশিং গোল করেন বেনজেমা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।

এরপর গোল শোধে মরিয়া জার্মানি কয়েকটি আক্রমণ করেছে, কিন্তু ফরাসি রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠ মিউনিখে নিজেদের দর্শকদের সামনে ১-০ গোলের হারই হয়েছে তাদের সঙ্গী।