আতশবাজির মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ

:
: ৩ years ago

থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান ও পটকা বা আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছিলো ডিএমপি। তবে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২০২২ সালের প্রথম প্রহরে আতশবাজিতে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার কাছাকাছি আসতেই শুরু হয় পটকা ফাটানো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। ফানুস-আতশবাজির আলোয় বর্ণিল হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। প্রায় প্রতিটি ভবনের ছাদ থেকেই আতশবাজি ফাটাতে দেখা যায়। অনেক ভবনের ছাদে ছিল আলোকসজ্জাও।

উৎসবের জোয়ারে শীত কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অনেক বাড়ির ছাদে ছাদে চলে বারবি কিউ পার্টি। পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতিটি ছাদে ছাদে চলে উৎসবের প্রতিযোগিতা।

নতুন বছরের নতুন সূর্যের আলোয় শান্তিময় হয়ে উঠুক সবার জীবন, এমন প্রত্যাশা নিয়েই রাজধানীবাসী নতুন খ্রিষ্টীয় বর্ষকে স্বাগত জানায়।

এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অনুরোধ করার পরও কিছু কিছু এলাকায় আতশবাজি, পটকা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য জনগণের সচেতনতা দরকার।

কমিশনার বলেন, আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নিরাপত্তা দিতে পারবো না। তবে অনুরোধ করা হয়েছিল যেন কেউ পটকা কিংবা আতশবাজি না ফোটায়। কেননা অনেক ঘরেই অসুস্থ বা বয়স্ক রোগী আছে। এগুলোতে ভীতসন্ত্রস্ত কিংবা দুর্ঘটনায় তারা পতিত হতে পারেন। মূলত এ কারণেই এসব না করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।