খলিফা মাইনুল : বাংলাদেশের অন্যতম রাজনীতিবিদ দক্ষিনাঞ্চলের স্বপ্নদ্রষ্টা , আধুনিক বরিশালের রূপকার হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ৬ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশালের সাধারণ মানুষ আজো খোঁজে তোমায় । ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল সকালে ৫৮ বছর বয়সে নগরবাসীকে কাঁদিয়ে চির বিদায় নেন তিনি।
গত ২০১৪ সালের ২২ মার্চ রাত ১০টার দিকে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ২৪ মার্চ রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে আবার ৩ এপ্রিল দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে লাইফ সার্পোট দিয়ে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ এপ্রিল সকালে হিরণ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১১ এপ্রিল বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নামাজে জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্তানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন হিরন।
বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার নানা বাড়িতে ১৯৫৬ সালের ১৫ অক্টোবর শওকত হোসেন হিরন জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়ার সুবাধে ছোট বেলা থেকেই নানা বাড়ি বরিশাল শহরে তার বসবাস। ১৯৭৭ সালে জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া শওকত হোসেন হিরন ১৯৮৮ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরিশাল সদর আসনের এমপি নির্বাচিত হন তিনি। রাজনৈতিক জীবনে তিনি সর্বশেষ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এরআগে তিনি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। হিরনের উত্তরাধিকার হিসেবে রয়েছেন তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ এবং একমাত্র মেয়ে রোশনী হোসেন তৃণা ও এক ছেলে সাজিদ হোসেন রাফসান। মৃত্যুর কয়েক বছর হলেও বরিশালের সকল নাগরিক আজো খোঁজে হিরনকে । ৯ এপ্রিল এলেই মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং সৃষ্টি কর্তার প্রতি তার জন্য দোয়া হাত বারিয়ে দেয় । তাকে খুঁজে পাওয়া যায় তার কর্মের মাধ্যমে আর তিনিই আমাদের মনিকোঠায় আজীবন বেচেঁ থাকবেন ।