গত চার দিন ধরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। কার্যালয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি দলটির কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীর। তালাবদ্ধ থাকার কারণে দলটির কার্যালয়ে কর্মরত কোনো স্টাফও আসেননি। তবে কার্যালয়ে সামনে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে ঝুলছে তালা। কার্যালয়ে সামনে ও আশপাশের গলিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। অন্যদিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে দলটির নেতাদের মুক্তি চেয়ে লাগানো অনেক ব্যানার পোস্টার সরানো হয়েছে।
বিএনপি কার্যালয়ে সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে তালাবদ্ধ কার্যালয়। প্রথম দু’দিন বিএনপির কার্যালয় ছিল সিআইডির ক্রাইম সিনের আওতায়। মঙ্গলবার কার্যালয় ক্রাইম সিনের আওতামুক্ত হলেও গ্রেপ্তার এড়াতে কোনো নেতাকর্মীও এদিকে আসেননি। বিএনপি কার্যালয়ের আশেপাশে সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। গতকাল কার্যালয়ের সামনের ও আশপাশের সড়কের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা-অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৪ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। এ অবস্থায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে কেউ কার্যালয়ে যাচ্ছে না। কবে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে যেতে পারবে ও দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাসায় থাকতে পারছি না, কীভাবে নেতাকর্মীরা দলের কার্যালয়ে যাবে?