আগে ম্যাচ জেতানো পেসার ছিল না, এখন অনেক পেসার আছে: সুজন

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ওয়ানডে সিরিজ বিজয়ের সুখ-স্মৃতি নিয়ে জোহানেসবার্গ থেকে ডারবানে টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় ডারবান পৌঁছেছে টাইগার ক্রিকেটাররা।

টেস্টে কী করবে মুমিনুল হকের দল? টাইগারদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কী? বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের কৌতুহলি প্রশ্ন যাদের, তাদের জন্য আছে আশার বাণী।

ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত টাইগাররা চায় টেস্ট সিরিজ জিততে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জাগো নিউজকে শুনিয়েছেন এ আশার বাণী।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় পড়ন্ত বিকেলে জোহানেসবার্গ থেকে ডারবান পৌঁছে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমরা টেস্ট সিরিজ জিততে চাই।’

সেটা কী প্রোটিয়াদের সাথে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কারণে? সেখানে পাওয়া উদ্যম আর অনুপ্রেরণাকেই টেস্ট জয়ের মূলমন্ত্র বলে ভাবা হচ্ছে?

টাইগার টিম ডিরেক্টরের কথা, ‘হ্যাঁ, আমার বিশ্বাস ওয়ানডে সিরিজ বিজয়ে আমাদের যে শক্তি, উদ্যম, সাহস ও আস্থা জন্মেছে, তা টেস্টে ভাল খেলতে সহায়তা করবে।’

এর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের টেস্টে হারানোকেও খুব বড় অনুপ্রেরণা বলে মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার কথা, ‘আমরা কয়েক মাস আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতেছি। সেটাও অনেক বড় অনুপ্রেরণা। শক্তি ও সাহস।’

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ একাই ম্যাচ জিতিয়েছেন। সারা বছর স্লো ও লো উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশের পেসাররা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়া ব্যাটারদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে পারেন, তা যে ছিল অলিক কল্পনা।

তাসকিন একাই ৫ উইকেট শিকার করে দল জেতাবেন, তা যে ছিল ভাবনার অতীত। এটা কী করে সম্ভব হলো? এ প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ সুজনের ব্যাখ্যা, ‘এটাইতো হওয়া উচিৎ ছিল। আরও আগে হলে আরও ভাল লাগতো।’

এবার হলো কী করে? ‘কারন এখন আমাদের একঝাঁক বেশ দ্রুত গতির ফাস্ট বোলার আছে। যারা গড়পড়তা ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে। যা নেই দক্ষিণ আফ্রিকারও। মোট কথা, আগে আমাদের বারুদে ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল। যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামাবে। এখন আমাদের সেই মানের ফাস্ট বোলার আছে। তাই জয় পেয়েছি।’

টেস্টেও পেসারদের কাছ থেকে এমন বোলিংয়ের প্রত্যাশা সুজনের। টেস্ট সিরিজ বিজয়ের আশা করলেও তার অনুভব এই ফরম্যাটে জেতা সহজ হবে না। কারণ, ‘টেস্টে টাইগাররা ততটা ধাতস্ত না। টেস্ট আমরা কম খেলি। আমাদের ঘরোয়া দীর্ঘ পরিসরেরর মান ততটা শক্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ না। যে কারণে আমাদের ক্রিকেটাররা ততটা ধাতস্ত না। তাই টেস্ট এখনো আমাদের জন্য টাফ।’

টেস্টে সাকিবকে কতটা মিস করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সাকিব এমন এক মানের ক্রিকেটার যে তাকে অনুভব না করার কিছু নাই। আমরা শুধু না, বিশ্বের যে কোনো দলই তাকে অনুভব করবে। সাকিব দলে থাকলে আমাদের ৫ জন বোলার পুরো থাকে। আর না থাকলে ৪ জন বোলার হয়ে যায়। আর সাকিব থাকলে ব্যাটার হয় সাত আটজন আর না থাকলে একজন কম।’

ওয়ানডে সিরিজ বিজয়ে আনন্দিত, উৎফুল্ল। তবে পুলকিত নন টাইগার টিম ডিরেক্টর, ‘এটি অনেক বড় প্রাপ্তি। এ সাফল্য অনেক ওপরে। এটি অবশ্যই স্পেশাল কিছু। তবে তার মানে এই না যে, এই জয়টাই একমাত্র জয় আর কোন জয়ের মূল্য নেই। প্রত্যেক জয়ই বড়। সব সাফল্যরই এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। আমি কোন সাফল্যকেই ছোট করে দেখতে চাই না। আমাদের ওয়ানডে আর টেস্ট দলের অনেক সাফল্যই আছে।’