যেহেতু ক্রিকেটারদের দাবি বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, জাতীয় লিগ এবং বিপিএলের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে, সেহেতু এ বিষয়টির অতি দ্রুত সমাধান চান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই পরিচালক জালাল ইউনুস এবং আকরাম খান।
তবে ক্রিকেটারদের ক্ষোভ, অতৃপ্তি আর অপ্রাপ্তি-হতাশার বিষয়টি সবার আগে যার জানার কথা, সেই ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান আগে থেকে কিছুই জানতেন না। জানেনও না। মিডিয়ার কাছ থেকে মুঠোফোনে বিষয়টা শুনেছেন, বেলা দেড়টা নাগাদ।
যদিও তিনি এখন ঢাকায় নেই। বর্তমানে নিজ শহর চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই আকরাম খান সাথে মুঠোফোনো প্রথম কথা বলেন বেলা পৌনে দু’টার দিকে।
সেই আলাপেই ক্রিকেট অপাপরেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম জানিয়ে দেন, আমি কিছুই জানি না। জানতামও না। কারণ, ক্রিকেটাররা আগে কখনো তাদের দাবির কথা আমাদের সেভাবে জানায়নি। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বেতন ও বিপিএল পারিশ্রমিক আর এনসিএলের ম্যাচ ফি- দু’এক কথা বললেও আগে কখনো বলেনি তারা ভিতরে ভিতরে এতটা অসন্তুষ্ট এবং বড় ধরনের দাবি দাওয়া পেশ করবে। শুধু তাই নয়, সেই দাবি না মানা হলে রীতিমত ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবে। ঠিক আছে, তারা যখন আমাদের সাখে না বসে মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের জানাতে চাইছে, তাহলে তাই হোক। আমরা আগে শুনি তারা কি বলে? তাদের দাবিটা কি?’
বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহসহ ক্রিকেটারদের পুরো সংবাদ সন্মেলনের ভিডিও দেখার পর বেলা সাড়ে তিনটারও পরে আবার সাথে কথা বলেন তিনি। তখন আকরাম খান বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের কথা শুনেছি। আমি ভিডিও দেখলাম। তারা তাদের দাবি পেশ করেছে।’ আকরামের শেষ কথা, ‘আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছি। দেখি কালকের মধ্যেই বসে কি করা যায়!’
অন্যদিকে বোর্ডের আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র জালাল ইউনুসও আগে থেকে কিছুই জানতেন না।সাথে আলাপে জালাল প্রথমে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরক্ষণে খানিক ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের দাবি থাকতেই পারে। তারা কোন কথা বলতেই পারে। তবে সেটা বোর্ডের সাথে বসে সেখানেই পেশ করা উচিৎ ছিল। আমরা তো কিছুই জানি না যে, ক্রিকেটারদের ভিতরে ভিতরে এত রাগ, ক্ষোভ, অভিমান। ক্রিকেটাররা বোর্ডে তাদের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করে দেখতো আগে। তারপর না হয় আল্টিমেটাম দিতে পারতো। অথচ তা না করে, আজ তারা মিডিয়ার কাছে নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করে কাল থেকে সব ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা- রীতিমত ব্লাকমেইলিং!’
তারপরও সাথে আলাপে বেলা ৪টার দিকে বিসিবি পরিচালক জালাল জানান, ‘তিনি এখনই বোর্ডে যাচ্ছেন এবং গিয়ে অবস্থা বুঝে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করবেন।’
বলার অপেক্ষা রাখে না বিসিবি প্রধান নির্বাহী এবং আকরাম খান আগেই জানিয়েছেন, তারা খুব শিগগিরই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন। জালালের কন্ঠেও তেমন সুর।