আগামী সংসদ নির্বাচনে অতিথি পাখিদের সমর্থন করবে না বরিশাল সদরের সাধারণ জনগন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

শেখ সুমন :এ বছরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারনায় নেমে পরেছে নতুন পুরাতন , অজ্ঞ, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যারা স্বপ্ন দেখছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাশালী দল আওয়ামীলীগের সমর্থন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই বরিশাল সদর পাঁচ আসনের প্রধান,প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান শহরের অলিতে গলিতে বইছে নির্বাচনী প্রচার। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে দেখা যায় আওয়ামীলীগের সমর্থন চেয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ব্যানার ও বিলবোর্ড টানিয়ে নিজেকে প্রচার করছেন।

যারা নিজেকে প্রচার করছে,তাদের ভিতরে অনেকেই নতুন। যারা রাজনৈতিক মাঠে এসেছেন বুধে বুধে আট দিন। কিন্তু এই অল্প ক দিনে তারা নিজেকে এমন ভাবে প্রচার করছেন যে , তারা অনেক পুরনো রাজনীতিবিদ।কেউ ,কেউ তো ইতিমধ্যেই বলছেন যে, তাকেই এবার দল সমর্থন দিবে। কারন, তারা নাকি সাধারণ মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছেন।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায়, সাধারণ মানুষ অতিথি রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সমর্থন ই করেন না। তারা চাচ্ছেন , বরিশাল সদর আসনে যেন এবার নৌকার মনোনয়ন পান অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনীতিবিদ। নতুন যারা প্রচারনায় আছেন তাদের কখনও রাজনৈতিক মাঠে দেখা যায় নি। তারা অনেকে আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত কিনা সে বিষয়ে ও প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ জনগণের মনে।

অনেকেই বলছে, নতুন যারা প্রচারনায় আছে তাদের কখনও নামও শুনিনি। তাছাড়া এদের মধ্যে নাকি আবার আরিফিন মোল্লা নৌকার চেয়ার তৈরি করে সেই চেয়ারে বসেন। কিন্তু , জাতির জনক তো কখনও এই ধরনের কোনও কার্যক্রম করেননি। জাতির জনকের বংশ এবং তার কোনও নিকট আত্মীয় এই ধরনের কাজ করছেন বলে সাধারণ মানুষ কখনও শুনেনি।

সালাউদ্দিন রিপন নামে একজন সমাজ সেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।সেখানেও তারা সুবিধা নিচ্ছে। জনগণের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি বা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি ব্যাতিত সেই সেবাও পাওয়া যায়না। জনগনকে ব্যাবহার করার জন্য যারা রাজনীতি করছেন কিভাবে তারা জনগণের উন্নয়ন করবেন এই প্রশ্ন এখন সাধারণ জনগণের ভিতরে।সাধারণ জনগণ তাই কখনও অতিথি পাখিকে তাদের নেতা হিসেবে মেনে নিবেনা।

নতুন রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, যারা এখন ব্যানার ও পোষ্টারে পুরো বরিশাল ছেয়ে ফেলেছেন তারা রাজনীতিতে নতুন।এরা আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় না। এদের দলে কোনও পোষ্ট পদবি ও নাই। অনেককেতো আমরা কখনও দেখি ও নাই। কিন্তু এদের ভিতরে একজন প্রচার করছে যে সে নাকি কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জরিত এবং বড় পোস্ট হোল্ড করে। এ ব্যাপারে অবস্যই দলীয় হাই কমান্ড ব্যাবস্থা নিবে। আর এসব অতিথি রাজনীতিবিদ রা কখনওই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেনা।