আগামী বর্ষায় ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে পারব: তাপস

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নগরের খালগুলো পরিষ্কার করা বিশাল একটা কর্মযজ্ঞ।এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজই হয়নি। সব জায়গায় শুধু স্তুপই না, শক্ত পলিমাটি জমে গেছে। তবে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা ঢাকাবাসীকে কিছুটা হলেও সুফল দিতে পারব।’

সোমবার (১১ জানুয়ারি) নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগর স্লুইস গেটে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণে যেসব খাল, বক্স কালভার্ট রয়েছে সেগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। সেই প্রেক্ষিতে গত পহেলা জানুয়ারি থেকেই আমাদের খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ কালভার্টগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা পরিকল্পনা নেব, কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব।

তিনি আরও বলেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে যাতে এসব জায়গায় পানি প্রবাহ এবং পানি নিষ্কাশনের কিছু ব্যবস্থা করা যায়, এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। বিশাল কর্মযজ্ঞ, তবুও আমাদের দৃঢ়তা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।

ডিএসসিসি মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, আগে বিভিন্ন ধারণা দেয়া হলেও আসলে সত্যিকার অর্থে গত কয়েক বছর ধরেই এখানে কোনো কাজ হয়নি। বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। যে কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সুতরাং আমাদের এখনকার যে কাজটা এটা অত্যন্ত জটিল। তারপরও আরম্ভ করেছি। আমরা যদি এটা সফলভাবে করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে কাজগুলো আরো শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে, ব্যবস্থাপনার মধ্যে আসবে। সুফলগুলো আমরা ঢাকাবাসীকে দিতে পারব।

তাপস বলেন, এখন যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে জলাবদ্ধতা আরও বেশি হওয়ার কথা। তারপরও কীভাবে আমরা টিকে আছি তা অবাক কাণ্ড! এখানে পানি প্রবাহের কোনো ব্যবস্থাই নেই। পানি যে আসবে, তারপরই তো পাম্প হাউজ ব্যবহার হবে। পাম্প হাউজ দিয়ে পানিটা আবার নিষ্কাশন হবে। এরপর মান্ডা ও জিরানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হবে। কিন্তু পানি আসার কোনো উপায় নেই। কারণ পুরোটাই বদ্ধ। আমাদের এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ করতে হচ্ছে। এখান থেকে সেগুনবাগিচা পর্যন্ত পুরো কালভার্ট পরিষ্কার করতে হবে। এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।

পরিদর্শনকালে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।