আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক এটাই আমি চাই। কারণ ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। নিরপেক্ষ ভোটের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেক রক্ত ও জীবন চলে গেছে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে সেসব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে। গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। ‘৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল। জাতিকে বিশ্ব দরবারে ছোট করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি নিজের জন্য নয়, রাজনীতি করি মানুষের জন্য। ২০১৪ সালে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। আমি নিজে খালেদা জিয়াকে ফোন করেছি। তাকে বলেছিলাম সর্বদলীয় সরকার করে নির্বাচন করি। যে মন্ত্রণালয় চাইবেন সেটাই দেয়া হবে। তারপরও তিনি নির্বাচনে না এসে আগুন দিয়ে এবং পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিলেন।