আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ: ফখরুল

:
: ৬ years ago

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এ কারণে যত রকমের দুষ্টামি আছে, তা করছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্য করেন। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথসভায় দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। এই সরকারের দুঃশাসন এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে। তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এই সরকারের পতন হবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে।

এ সময় গণমাধ্যমের প্রতি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের। গতকাল আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। দু-একটি পত্রিকা ছাড়া কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আমরা জানি, গণমাধ্যমকে পেছন থেকে আটকে দেওয়া হয়েছে। জনগণ এগুলো মনে রাখছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন কোনো কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সময়মতো দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচি আসে।’

ফখরুল ইসলাম বলেন, অনেকেই বলে বিএনপি সংকটে রয়েছে, বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপি ধ্বংস হবে না। এ দেশের জনগণের স্বপ্নের স্পন্দন বিএনপি। এই দল ধ্বংস হবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি অনেক প্রতিকূল অবস্থা পার করে আজ এ অবস্থানে এসেছে। কাজেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু ভাবার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই দিন বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ওই দিন বেলা তিনটায় জনসভার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে জনসভা অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২ সেপ্টেম্বর বেলা তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।