আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে ভোলা-বরিশাল সেতুর নির্মাণকাজ

লেখক:
প্রকাশ: ১ দিন আগে

দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপজেলা ভোলার মানুষের পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা-বরিশাল সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজ আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরুর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মহিউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অংশীজনদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভোলাবাসীর দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘোষণা দেন।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

এর আগে, এদিন সকালে ভোলা বরিশাল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, জেলা প্রশাসকসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় জানানো হয়, ভোলার শিক্ষাখাত চিকিৎসা, শিল্প, বাণিজ্য, ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভোলা-বরিশালের মধ্যবর্তী কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর ওপর ১৬ দশমিক ৩৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেন সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ১০ দশমিক ৮৭৬ কিলোমিটার। বাকিটা সংযোগ সড়ক এবং নদী শাসন করা হবে সাড়ে ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।

আরও জানানো হয়, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০৩৩ সালে। সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য সরকারের সঙ্গে জাপানি একটি কোম্পানির আলোচনা চলছে। জাপানের সঙ্গে চুক্তি না হলে কোরিয়াকে রাখা হয়েছে বিকল্প হিসেবে। কোরিয়া থেকে অর্থ না পাওয়া গেলে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়।

সভায় ভোলার স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী ‘আমরা ভোলাবাসী’র প্রতিনিধি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ সময় প্রস্তাবিত ভোলা-বরিশাল সেতুটি বহুমুখী সেতু করার দাবিও জানান তারা।

এদিকে, জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা চলাকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। পরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার ঢাকায় ফিরে ভোলাবাসীর বাকি চার দফা দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

বৃহস্পতিবারের এ ঘোষণায় নতুন করে সেতুর স্বপ্ন দেখছেন ভোলাবাসী। এতে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে দ্বীপজেলা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে জেলা শহরের বাংলাস্কুল মাঠে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা।

করোনা ভাইরাসজাতীয়প্রচ্ছদপ্রশাসন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago