পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বুধবার-২৯ জুলাই লকডাউনের ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগস্ট মাস জুড়ে দফায় দফায় মোট নয় দিন গোটা রাজ্যে লকডাউন করা হবে। বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ খবর জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসদলীয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২, ৫ ও ৮ এবং ৯ আগস্ট রাজ্যজুড়ে হবে প্রথম দফার লকডাউন। এরপর ১৬ ও ১৭ অগাস্ট দ্বিতীয় দফা, ২৩ ও ২৪ আগস্ট তৃতীয় দফা আর শেষের দিকে ৩১ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে এই লকডাউন জারি থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার মনে করছে, সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন করা গেলে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে। চলতি মাসে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মুত্যুর রেকর্ড গড়ে। ফলে উদ্বিগ্ন সরকার বিস্তার ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের তৈরি একটি গাণিতিক মডেলে বলা হয়েছিল যে, ভারতে করোনার সংক্রমণ যদি বর্তমান হারেই বাড়তে থাকে, তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫ লাখ।
কিন্তু সপ্তাহে দুই দিন করে লকডাউন করা গেলে সেই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমে ১৬ লাখের কাছাকাছি চলে আসবে। সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করছে পশ্চিমবঙ্গ মমতা নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসদলীয় রাজ্য সরকার।
ওই মডেল অনুসরণ করেই পশ্চিমবঙ্গে যদি কোনও লকডাউন না করা হয়, তাহলে অক্টোবরে রাজ্যটিতে সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছতে পারে এক লাখে। কিন্তু একদিন করে লকডাউন করলে সেটি প্রায় ৪০ হাজার এবং সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন করলে ২০ হাজারে পৌঁছাবে সংক্রমণ।
যদিও এখনই পশ্চিমবঙ্গে ‘অ্যাক্টিভ কেস’— অর্থাৎ করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর এখন যাদের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে এবং যারা সুস্থ হননি— এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫০২ জনে। সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে ৩৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন।