আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ফাল্গুন মাহফিল সমাপ্ত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাইর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লাখ লাখ মুসল্লিদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
বিবর্তনবাদ সহ নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যপুস্তক বাতিল ও সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে ২৫ ফেব্রুয়ারী সারাদেশে থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা
আখেরী মুনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতদের জন্য দোয়া করেন পীর সাহেব চরমোনাই
আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ফাল্গুন মাহফিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী’২৩ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী’২৩ সকাল ০৯.০০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। আমরা ইসলামকে বিজয়ী করার মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপস্থাপন করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক বিবর্তনবাদ সহ অসজ্ঞতিতে ভরা পাঠ্য সিলেবাসের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে৷ এমন পাঠ্যসিলেবাস ৯২ ভাগ মুসলমানদের দেশে চলতে দেয়া যায় না।
বিবর্তনবাদ সহ নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যপুস্তক বাতিল ও সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে ২৫ ফেব্রুয়ারী সারাদেশে থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান পীর সাহেব চরমোনাই।
আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। বিশেষত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতদের জন্য বিশেষ দোয়া করেন তিনি।
উল্লেখ্য, চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লীদের মধ্য হতে ১৭,৫৪২ জন মুসল্লী মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। তবে
চরমোনাই মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে মোট ৮ জন বার্ধক্যজনিত কারণ ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। মৃতদের তালিকা…
০১। হারুনুর রশীদ (৫০), পিতা মোঃ আঃ রহমান, নওগাঁ সদর।
০২। মোঃ সাদেক মিয়া (৬০), পিতা লিয়াকত মণ্ডল, ফুলপুর, ময়মনসিংহ
০৩। মোঃ রওশন শেখ (৬৫), পিতা- মৃত তোফাজ উদ্দীন শেখ, মোকসেদপুর, গোপালগঞ্জ।
০৪। মোঃ জামাল উদ্দিন(৭০), পিতা মৃত মাহামুদ মুন্সী, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।
০৫। মোঃ বাদল মিয়া (৭৫), পিতা মৃত আবু মিয়া, লাখাই, হবিগঞ্জ
০৬। মোঃ হেবজু মিয়া (৬০), পিতা মৃত মোঃ আহাম্মদ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর
০৭। মোঃ বাবুল চৌকিদার (৬০), পিতা মৃত বাশার চৌকিদার, কাজীরহাট, বরিশাল
০৮। মোঃ লিয়াকত আলী (৬০), পিতা মৃত সুরুজ মিয়া, রায়পুরা নরসিংদী
তাদের নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তাদের নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।