আখেরি মুনাজাতে সম্পন্ন চরমোনাইয়ে অগ্রাহায়ণের বাৎসরিক মাহফিল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মুসলিম উম্মাহর শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী চরমোনাইয়ে অগ্রহায়ণের বাৎসরিক মাহফিল শেষ হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আমিরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)-এর পরিচালনায় আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মুনাজাতের আগে শেষ বয়ানে পীর সাহেব বলেন, আমরা সবাই কবর পথের যাত্রী। যার ভিতরে তাকাব্বরি থাকবে সে বেহেশতের ঘ্রাণও পাবে না। হিংসা, অহংকার, গিবত, মিথ্যা, সুদ, ঘুষসহ সব গুণাহের কাজ দূর করতে হবে। হারাম মালের দ্বারা যে রক্ত ও শরীর তৈরি হবে তার স্থান হবে জাহান্নাম। কবর আজাব ও জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা ও তরিকার পাঁচ ওষুধ পালনসহ শরিয়তের যাবতীয় হুকুম আহকাম মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ ও সহি-শুদ্ধভাবে নামাজের জন্য কেরাত শিক্ষা করা ফরজ। যারা আত্মাকে পবিত্র করবে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। ইমানের ওপর পরিপূর্ণভাবে মজবুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, আল্লাহ পাকের জিকির অধিক করলে কলবের ময়লা দূর হয়। কলব পরিষ্কার হওয়ার একমাত্র পথ জিকির।

মুসুল্লিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা চরমোনাই এসেছেন তারা সবাই নির্দেশ মেনে চলবেন, অন্যথায় চরমোনাই আসার দরকার নাই। আমরা পীর-মুরিদির ব্যবসা করি না। আখেরি মুনাজাতে পীর সাহেব বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন। মোনাজাত শেষে আগত মুসুল্লিরা শত শত বাস, লঞ্চ ও ট্রলার যোগে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। চলতি বছর চরমোনাই এলাকায় ২টি মাঠজুড়ে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নদীর বিস্তৃর্ণ এলাকা, মাঠের আশপাশের বাগান, ঘড়বাড়ির আঙিনাসহ সবখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিদের উপস্থিতিতে তিল ধারণে ঠাঁই ছিল না। মাহফিলে আগত মুসুল্লিদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়। জানাজা শেষে তাদের কফিন নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে মুজাহিদ কমিটি।