আকাশজুড়ে ‘স্বপ্ন বাতি’ মেলল ডানা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

‘বাবা, দেখো, এদিকে তাকিয়ে দেখো, আকাশে কি সুন্দর রঙিন ফানুস উড়ছে। ওই যে, ওই পাশে তাকাও, দেখো কি সুন্দর তারার বাতি আর বাজি ফুটছে।’

আজিমপুরের বাসিন্দা সাইদুর রহমানের সাত বছর বয়সী ছোট শিশু অহনা নববর্ষের প্রথম প্রহরে সাততলা ফ্ল্যাটের ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশ জুড়ে রঙিন ফানুস ও হরেক রকম বাতির ঝিলিক দেখে খুশিতে আটখানা হয়ে বার বার তার বাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল।
মেয়ের খুশি দেখে সাইদুর রহমান একবার মাথা ডানে আরেকবার বামে ঘুরিয়ে মেয়েকে খুশি করার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

bangla.earthtimes24.com

সাইদুর রহমান তাকিয়ে দেখলেন, শুধু তিনি একাই নন, পরিবার পরিজন নিয়ে আশপাশের ভবনের ক্ষুদে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে নিতে হাজির হয়েছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে রাত ৮টা বাজার আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শাহবাগের চৌহদ্দিতে কড়া পাহারা বসায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। রাজপথে তরুণ-তরুণীদের আটকানো গেলেও আকাশে স্বপ্ন বাতি উড়িয়ে নববর্ষকে বরণ করে নিতে এতটুকু কমতি রাখেনি তরুণ-তরুণী তথা নগরবাসীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার ছাদ থেকে টানা ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট সময় ধরে আকাশে স্বপ্ন বাতি জ্বালিয়ে রেখে নববর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়।

bangla.earthtimes24.com

রোববার সন্ধ্যা থেকেই নববর্ষের প্রথম প্রহরকে কিভাবে বরণ করা হবে তা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। হাজার হাজার টাকা খরচ করে আতশবাজি কিনে মজুদ করা হয়। কেউ কেউ বাড়ির ছাদে বছরের শেষ বেলায় ভুরিভোজের আয়োজন করে। কোথাও কোথাও জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে গান ও নাচের আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গতবারের চেয়ে এবার জনসমাগম কম ছিল। প্রকাশ্যে জনসমাগম কম থাকলেও এবার বাসার ছাদে আনন্দ উদযাপনের নতুন দৃশ্য চোখে পড়ে। ১২টা বাজার আগে থেকেই আকাশে আতশবাজি পোড়ানো শুরু হয়। বিরতি ছাড়া তা আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।