শরীয়তপুর-১ (সদর ও জাজিরা) আসনে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তারা এলাকায় গণসংযোগসহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন।
প্রার্থিতা জানান দিতে ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। জনগণের কাছাকাছি পৌঁছতে তারা পাল্লা দিয়ে চালাচ্ছেন মসজিদ-মাদ্রাসায় ব্যক্তিগত অনুদান দেওয়াসহ সামাজিক কর্মকাণ্ড। জেলার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রধান দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এবার তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠ সরগরম করে তুলছেন। এবারের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল নেতারা। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক সপ্তাহে দুই-তিন দিন এলাকায় থেকে উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
তবে বিএনপির নেতারা মাঠে সরাসরি কাজ না করলেও ভিতরে ভিতরে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বিএনপির মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি থাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মাঝেও দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের কারণে মাঝে-মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সমাবেশ হচ্ছে। এ কারণে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিএনপিও গ্রুপিংয়ের কারণে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে। সাংগঠনিকভাবে বিএনপি এখন অনেকটাই দুর্বল। জেলা কমিটি ঘিরে রয়েছে নানা বিভাজন। আর জাতীয় পার্টির কোনো কর্মসূচি নেই বললেই চলে। শরীয়তপুর ১ (সদর-জাজিরা) আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে চলছে জটিল সমীকরণ।
দলীয় কোন্দলের কারণে এ আসনের বর্তমান এমপি বি এম মোজাম্মেল হক কিছুটা চাপের মুখে থাকলেও তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তিনি এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে দল মনোনয়ন দিলে জয়লাভ করবেন বলে তিনি মনে করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান। জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোবারক আলী শিকদার দলের মনোনয়ন চাইবেন। তিনি দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করেছেন। ফলে তিনি শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও তিনি হেরে যান। এ ছাড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জাজিরা উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোসারব হোসেন আকন্দ মাঠে কাজ করছেন।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন কালু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাহমিনা আওরঙ্গ, জেলা বিএনপির সদস্য মো. মিন্টু সওদাগর দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আ. জব্বার খান, হেলাল উদ্দিন আকন এলাকায় কাজ করছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে পারেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com