ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এদিকে, আইসিসির পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে।

নরওয়ে বলছে, আইসিসির পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে তারা ‘বাধ্য’।

বুধবার (২২ মে) তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকদের প্যানেল পরোয়ানা জারি করলে নরওয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে গ্রেপ্তার করবে।

প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১) নরওয়ে এই ঘোষণা দিয়েছে।

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে এবং তারা নরওয়েতে আসলে তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে তার দেশ।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা উচিত কিনা তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকদের প্যানেল বিবেচনা করবে বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে নরওয়ের বাধ্যবাধকতা অনুসারে তাকে আদালতের কাছে হস্তান্তরের আশা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, আইসিসির সমস্ত রাষ্ট্রীয় দল একই কাজ করবে।’

সোমবার (২০ মে) আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু  ও  প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, গাজার শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ওহামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর ধারাবাহিকতায় গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ আবেদন করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলো মধ্যে কোনোটি শেষ পর্যন্ত জারি করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তটি আইসিসির তিন বিচারকের একটি প্যানেলের কাছে রয়েছে, তারা প্রসিকিউটর অফিসের উপস্থাপিত প্রমাণগুলো মূল্যায়ন করবেন।