ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রেইকজেনেস উপদ্বীপে ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ভূমিকম্পগুলো আঘাত হানে।
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, সম্ভবত অঞ্চলটির আশপাশের কোনো আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং দ্রুতই এর উদ্গীরণ ঘটবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ শতাধিকবার ভূমিকম্পের ঘটনার পরপরই দেশটির আইসল্যান্ডের নাগরিক সুরক্ষা ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রিন্দাভিকের উত্তরে সুন্ধনজুকাগিগারে ভূমিকম্পের কারণে নাগরিক প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প হতে পারে এবং এর কারণে একটি অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমও) জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষ থেকে রেইকজেনেস উপদ্বীপে ২৪ হাজার কম্পন অনুভূত হয়েছে। আর শুক্রবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ৮০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আইএমও কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে গ্রিন্দাভিকের উত্তরে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২।
আইএমও আরও জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গভীরতায় ভূগর্ভে ম্যাগমা জমে আছে। এটি যদি পৃষ্ঠের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে তাহলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে।
সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, গ্রিন্দাভিক গ্রামটিতে অন্তত ৪ হাজার লোকের বাস। এই গ্রামটি ভূমিকম্পগুলোর উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে গ্রামটির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইএমও।
২০২১ সাল থেকে রেইকজেনেস উপদ্বীপে তিনটি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের মার্চ, ২০২২ সালের আগস্ট এবং ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। তিনটি অগ্ন্যুৎপাতই জনমানবহীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে হয়েছিল।
আইসল্যান্ডে ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সিস্টেম রয়েছে, যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ।