তানভীরুল ইসলাম, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ,আই আই ইউ সিঃ মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে চট্রগ্রামের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী। একুশের প্রথম প্রহরে ভিসি ও বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল নয়টায় শোভাযাত্রা, সকাল দশটায় আলোচনা সভা এবং দোয়া ও মুনাজাতের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেন: বায়ান্নোরর ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এই দেশপ্রেম চেতনা অটুট থাকলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এই দেশ আমাদের আর এই দেশকেই আমাদের সকলকে অকৃত্রিম ভালভাসতে হবে।
আইআইইউসি’র প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বাংলা ভাষার ইতিহাস রক্তিম ইতিহাস, এই ইতিহাসকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাষা দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে লাল সবুজের দেশ হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। এইছাড়াও আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন আইআইইউসি’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন ড. মোহাম্মদ রিয়াজ মাহমুদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মাশরুরুল মওলা এবং স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম, পিএসসি (অব:)। অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসি’র ট্রেজারার, ডীনগণ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, এডিশনাল এস পি (নর্থ), চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।
মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন আরো বলেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ’তমুদ্দুন মজলিস’ এর মাধ্যমে প্রথম বাংলা ভাষার আন্দোলনের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধু সহ আরো অনেকেই বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করে কারাবন্দী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় আবেগের চেয়ে আন্তরিকতা বেশি প্রয়োজন।