অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে আরো এক প্রাণঘাতী রোগের সংযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকার সঙ্গে নতুন আরেকটি রোগের সংযোগ মিলেছে। এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাধার অতি বিরল ও মারাত্মক রোগ ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রোমবোকায়টোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রোমবোসিসের’ (ভিআইটিটি) এর সংযোগ পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি এবং এক দল গবেষকের যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে সংযোগ থাকা ভিআইটিটি এবং অ্যাডিনোভাইরাল ভেক্টর ভিআইটিটি-এর পিএফফোর অ্যান্টিবডিতে হুবহু একই আণবিক ছাপ পাওয়া গেছে।

ফ্লিন্ডার্সের গবেষক টম গর্ডন জানিয়েছেন, এই রোগে প্রাণঘাতী অ্যান্টিবডি উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া, তা কার্যত অভিন্ন এবং জিনগতভাবে একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডিতে যে ক্ষতিকর এএফফোর উপাদানের খোঁজ মিলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়, তাতেও একই উপাদানের খোঁজ মিলেছে।

 

গত কয়েক বছরে টিকার পার্শ্বক্রিয়া নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে অ্যাস্ট্রজেনেকা। এসব ঘটনায় ৫০টিরও বেশি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা মেনে নিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকা থেকে বিরল থ্রমবটিক থ্রমবোকায়রোপেনিক সিনড্রম (টিটিএস) রোগ হতে পারে। এই রোগে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, প্লাটিলেট কমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেন হ্যামরেজের ঝুঁকি বাড়ে।

২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতের দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এবং ভিআইটিটি এর ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কোভিড টিকা নেওয়ার পর সাত জন ভিআইটিটিতে আক্রান্ত হন বলে জানায় তারা। জটিলতা বেড়ে গিয়ে একজন মারাও যান বলে সামনে আসে।