অ্যাডিশনাল এসপি স্বামীর বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষিকার মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অ্যাডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষিকা। যৌতুকের দাবিতে পাষবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীন বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন।

রুখসানা পারভীনের স্বামী বেলায়েত হোসেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত। বেলায়েত হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার তরা গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে। ওই মামলায় বেলায়েত ছাড়াও তার বাবা মইনুদ্দিন, মা রোকেয়া বেগম এবং বোন দিলারা সুলতানাকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল হামিদ লাবলু শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজির ফজলে খোদা ৫৫২/১৮নং পিটিশন আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বেলকুচি পৌর মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেলায়েতের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয় ২০১০ সালের ২৫ জুন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রুখসানাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ বছরের ৯ মার্চ ঢাকায় পুলিশ অফিসার্স মেসে দেখা করতে গেলে যৌতুকের দাবিতে সন্তানের সামনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে মারধর করেন। পরে রুখসানা পারভীনের মা-বাবা ঢাকায় গিয়ে তাকে গ্রামের বাড়ি বেলকুচিতে নিয়ে আসেন। পরে বেলায়েত, তার মা-বাবা ও বোন মিলে গত ৩০ মার্চ বেলকুচিতে আসেন। এ সময় বাদীর বাবা-মা ধারদেনা করে বেলায়েত ও পরিবারের দাবি করা যৌতুকের ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে রুখসানা তাদের সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে বেলায়েত বেধড়ক মারধর করেন।

মামলার বিষয়ে রুখসানা পারভীন বলেন, স্বামী বেলায়েত বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় আমাকে নির্যাতন করেছেন। তার অন্য নারীর প্রতি লোভ আছে। বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা মেয়ে এবং অন্য মেয়েদের সঙ্গেও বেলায়েতের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি তার ছোট বোনের বান্ধবী ইডেন কলেজের এক মেয়ের সঙ্গে বেলায়েতের সম্পর্কের কথা জানা গেছে।

এদিকে মামলার আসামি বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে মামলার অন্য আসামি বেলায়েতের হোসেনর বোন দিলারা সুলতানা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে রুখসানা পারভীন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আমার ভাই বেলায়েত তাকে প্রায় দুই মাস আগে ডিভোর্স দেন। তারপরও আমাদের হয়রানির জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।