রাজধানীর খিলক্ষেতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে স্থাপন করা অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ ছিল অননুমোদিত। এ নিয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পূজা মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ সময় পূজার আয়োজকরা রেল কর্তৃপক্ষকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সে বছরের দুর্গা পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। পরে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এমন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা তাতে কর্ণপাত করেননি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
অভিযানকালে প্রথমে ১৫০টি দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার ও সবশেষে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরানো হয়েছে। মণ্ডপের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
রেলের জমিতে স্থাপনকৃত অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।