অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন স্কট মরিসন। শুক্রবার লিবারেল পার্টির দলীয় ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে জয়লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উদ্ধৃদি দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া মরিসন টার্নবুলের বিশ্বস্ত সহকর্মী কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
লিবারেল পার্টির হুইপ নোলা মারিনো জানান, বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মরিসন দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে ৪৫-৪০ ব্যবধানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটনকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে জয়লাভ করেন।
সম্প্রতি কয়েকটি উপ-নির্বাচনে হেরে যায় টার্নবুলের লিবারেল পার্টি। এছাড়া জনমত জরিপে দেখা যায়, টার্নবুলের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন মানুষ। এতে দলের শীর্ষ নেতাদের চাপের মুখে পড়েন তিনি।
গত এক দশক ধরে চলমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকটের কারণে দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে পূর্ণ তিন বছর মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।
এর আগে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার জন্য তার নিজ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের চাপের মুখে ছিলেন টার্নবুল। তবে দলের নেতৃত্ব ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এক ঘোষণায় টার্নবুল বলেছিলেন, তিনি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন যদি তার বিরোধীরা যথেষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারে তবেই। এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার টার্নবুল ঘোষণা দেন, প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে আর কোনো চ্যালেঞ্জে যাবেন না। ওই সময় ডাটনের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের লড়াইয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন স্কট মরিসন। পরে জুলি বিশপ নামে দলের আরেক নেতা প্রার্থী হন।