অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন এবং ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

যেগুলোতে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় ২১০ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। যার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিরসরাই, সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩০ হাজার একর জমিতে পরিকল্পিত ও আধুনিক শিল্পাঞ্চল হিসেবে সরকারি খাতে সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ গড়ে তোলা হচ্ছে।

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে। বর্তমানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের আওতায় ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত আছে, যার বিপরীতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পিপিপির আওতায় একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরও ৬টি প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্যান্য রফতানিমুখী শিল্পখাতের উৎপাদন কার্যক্রমও যাতে কাস্টমস বন্ডেড ব্যবস্থার অধীনে আসতে পারে সে লক্ষ্যে বন্ডেড ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যায়, এটি বাস্তবায়িত হলে সবপ্রকার রফতানিমুখী শিল্পের উৎপাদন ও রফতানিতে গতিশীলতা আসবে।