দোষ না করেও দোষী সাব্যস্ত উদ্ভট মনগড়া আইনের মারপ্যাঁচ কেবল বিসিসি'র কর্তার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন বিদ্ধ গোটা মহলে আলোচিত হয়ে। বিসিসি সূত্রমতে, গত২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামালের সাক্ষরে অফিস আদেশে প্রধান সহকারী'র পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল মোঃলকিত উল্লাহ্ সিকদার কে। পরবর্তীতে প্লান সহকারীর পদে সে থেকে দায়িত্ব পালন করে মোঃ লোকমান হোসেন। অথচ কোন ধরনের প্লান শাখার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই ২০১৭ সালের প্লান শাখা থেকে রাজস্ব আয় কম করানোর দোষ লকিত উল্লাহ্ র ঘাড়ে চাপিয়ে শোকজ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশনা প্রদান করে।
এদিকে জানা গেছে সিটি মেয়রের অনুপুস্থিতিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সাক্ষরীত বিসিসি/প্রঃঅঃআঃ ১|১৭-৭৮১ স্মারকে রাজস্ব কম আদায় করায় কারন দর্শানোর প্রসঙ্গের বিষয়ে উল্লখ্য রয়েছে, নিম্নবর্নিত প্রকৃত ফি এর তুলনায় কম ফি আদায় করে উপস্থাপন করায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব ১৪ হাজার ৬ শত ৬৬ টাকা কম আদায় হয়েছে। রাজস্ব কম আদায় করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতি সাধন করেছে যা চাকুরী বিধি পরিপন্থী অপরাধ। এবিষয়ে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না সেই মর্মে পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তার প্লান সংক্রান্ত কার্যক্রম মোঃ লোকমান হোসেন ও খায়রুল হাসান, প্লান সহকারীর দায়িত্ব পালন করবে বলে শোকজ করে প্রধান সহকারীকে। আরো উল্লেখ্য রয়েছে পি-২১২/২০১৭ প্রকৃত ফি ১৭ হাজার ৯শত ৭০ টাকা আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪শত ৫৯ টাকা আর ক্ষতি হয়েছে, ৫হাজার ৫শত ১১ টাকা।পি-৪৩২/২০১৭ প্রকৃত ফি ১৬ হাজার ২শত টাকা আদায় হয়েছে ১১ হাজার ২ শত ৮৯ টাকা, ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৯শত ১১ টাকা।পি- ৫০৮ /২০১৭ প্রকৃত ফি ১৪ হাজার ২শত ৮০ টাকা,আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৩৬ টাকা,ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ২ শত ৪৪ টাকা সর্বমোট তিনটি প্লানের আদায় সাপেক্ষ ক্ষতি দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার ৬শত ৬৬ টাকা।
তবে খোঁজ নিয়ে সরেজমিনে বেশ কয়েক বিসিসি'র উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, যেখানে ২০১৫ সালে দায়িত্ব হস্তন্তর করে প্রধান সহকারীর দায়িত্ব পালন তরে আসছে তাছাড়া উল্লেখ্যিত প্লান গুলোর কোন কাগজ পত্রে তার সম্পৃক্ততা নেই সেখানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না কেন মর্মে কারন দর্শানোর চিঠি হাস্যকর আর মন গড়া সিদ্ধান্তের প্রকাশ পায় গোটা নগর মনে বিসিসি'র দিকে কার্যক্রম প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে থেকেই। অফিস আদেশ অমান্য না করেই প্রধান সহকারী লকিত উল্লাহ্ সিকদার গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কারন দর্শানোর প্রসঙ্গে জবাবে উল্লেখ্য করে যে গত ১২/১২/২০১৫ তারিখের বিসিসি প্রঃঅঃআঃ-১/১৫-২৪(৮) স্মারকাদেশে ১০ টি প্লানের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু ১২/১২/২০১৫ তারিখের প্লানের দায়িত্ব দেয়া হলো তাৎক্ষাখ সিটি মেয়র মহোদয় প্রসাশনিক কর্মকর্তার মাধ্যমে মোসাৎ লাকী বেগম কে কাজ করার মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং প্লান সহকারী লোকমান দেখশোনা করবেন। তাই অদ্য পর্যন্ত তিনি কোন প্লানে নির্দেশনা এবং মৌখিক আদেশের কারনে কোন প্লানে স্বাক্ষর কিংবা উপস্থাপন করেন নি। যা যথাক্রমে পি-২১২/১৭,পি-৪৩২/১৭ ও পি-৫০৮/১৭ নং প্লানে স্বাক্ষর প্রতায় মান আছে প্লান উপাস্থাপনে মোঃ লোকমান হোসেন স্বাক্ষরিত ও চালানে সহকারি হিসাব একই লোকের স্বাক্ষর দেয়া আছে যা চালানের কপিতে উল্লেখিত তিনটি প্লান সদয় দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায়।
এছাড়াও গত ২০১৭ সালের পহেলা মার্চ মাসের ৩য় পরিশোধে ১৪ তম সাধারন সভায় কার্য বিবরনী আলোচনা সুচিতে ১১ বিবিধ (খ) নং অনুযায়ী ইমারতের ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমুহ যে, পাকা ইমারত প্রতি বর্গ মিটার ১৯.৭৭ পয়সা। বর্তমান ফি ৩০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে যা ১লা জুলাই ২০১৭ কার্যকর হয়।এ বিষয়ে যথাক্রমে প্লানগুলো পি-২১২ জমা হয় ১৫/০৬/২০১৭ইং, পি-৪৩২ জমা হয় ২৬/০৪/২০১৭ইংপি-৫০৮ জমা হয় ১৯/০৬/২০১৭ইং তিনটি প্লানই এপ্রিল ২০১৭ ও জুন/ ২০১৭ তে জমা হয় নির্দেশ মোতাবেক প্লান সহকারী পূর্বের রেটে চালান কেটে জমা দেয়া হয়েছে। মাসিক সভায় সিদ্ধান্তুযায়ী তাতে ও রাজস্ব ফাকির প্রশ্ন ই আসেনা চালা ও প্লানেও রেজুলেশনের বাস্তব সত্যতা রয়েছে। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক ২৮/০৪/২০১৫ প্রঃঅঃআঃ ০১/১৫-২৮৮(৬)স্মারকাদেশে প্রসাশনিক শাখায় প্রধান সহকারী চলতি দায়িত্ব পালন করে আসছে। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্লান শাখায় কোন কার্যক্রমের সাথে অংশ গ্রহন কোন নথি উপস্থাপন বা চালান কেটেছে এমন সত্যতা বিসিসিতে চিড়ুনি তল্লাশীতেও পাওয়া যায়নি। তিনি মার্জনা দৃষ্টিতে দেখে কতৃপক্ষদের কৈফিয়তদায় হতে অব্যাহতিদানেরর অনুরোধ জানায়। অপর দিকে বিসিসি'র প্রকৌশলী দপ্তরের অধিকাংশরাই জানায় অভ্যন্তরীন কোন্দলের ফাঁদে ফেলা হয়েছে তাকে হেয় করতে সংঘবদ্ধ হয়ে একটি মহল সিটি মেয়রের অনুপুস্থিতিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে। প্লান সহকারী মোঃ লোকমান হোসেন উপরোস্থ সকল বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানায় তিনি চালানে স্বাক্ষর করে প্লান জমা করেছে সেখানে প্রধান সহকারীর কোন সম্পৃক্ততা নেই। অপর প্লান সহকারী খাইরুল হাসানো একই কথা বলে কেন তার নাম অভিযোগে উঠে এসেছে তা কারোর ই বোধগম্য হচ্ছে না। এবিষয়ে বিসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানায় প্রধান সহকারী লকিত উল্লাহ্ সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পেক্ষিতে কারন দর্শানোর জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছে। অপর দিকে সিকে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাজধানীতে ব্যস্ত থাকায় কোন বক্তব্য প্রদান করেন নি। অপরদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের সচিব আঃ মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে অপর এক সচিব জানায় কাগজে সুস্পষ্টকোন প্রমান ছাড়া কারন দর্শানোর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়াগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়বিভাগ।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com