অভিষেকেই ৩ উইকেট, পিএসএলে দুর্দান্ত শুরু রিশাদের

লেখক:
প্রকাশ: ২ দিন আগে

প্রথমবার পিএসএলে খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচের একাদশে সুযোগ মেলেনি রিশাদ হোসেনের। তবে অভিষেক ম্যাচের অপেক্ষাটা খুব একটা দীর্ঘ হলো না। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই টাইগার স্পিনারকে নিয়ে একাদশ সাজায় লাহোর কালান্দার্স। রিশাদ আস্থার প্রতিদানও দিলেন দারুণভাবে। পিএসএলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই ৩ উইকেট শিকার করলেন। দলের জয়েও রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

রোববার শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও স্যাম বিলিংসের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল রিশাদের লাহোর। ৩৯ বলে ৬৭ রান করেন ওপেনার ফখর। ১৯ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বিলিংস। অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদও। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটে গিয়ে ১ বলে ১ রান করেন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে যায় কোয়েট্টা গ্লাডিয়েটার্স। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল দলটি। সপ্তম ওভারে রিশাদ যতক্ষণে বল হাতে তুলে নেন ৬২ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে কোয়েট্টা। আক্রমণে এসে নিজেদের করা প্রথম ওভারে ৭ রান দেন রিশাদ।

পরের ওভারে রাইলি রুশো ছক্কা মেরে ঝড় তোলার আভাস দিলেন। প্রতিশোধ নিতে অবশ্য বেশি সময় নিলেন না টাইগার স্পিনার। পরের বলেই দ্রুতগতির এক গুগলিতে বোল্ড করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানকে। ফেরার আগে ১৯ বলের ৪৪ রান করেন রুশো।

রিশাদ বাকি ২টি উইকেট পেয়েছেন নিজের শেষ ও দলের ১৩তম ওভারে। প্রথম বলে মোহাম্মদ আমিরকে দারুণ এক লেগ ব্রেকে বোল্ড করেন। এরপর ওভারের চতুর্থ বলে আবরার আহমেদকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ বানান রিশাদ। কোয়েটা শেষ পর্যন্ত ১৬.২ ওভারে অলআউট হয় ১৪০ রানে।

রিশাদ ৩ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৩১ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তরুণ এই স্পিনার। আগামী মঙ্গলবার করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে রিশাদের দল।