অভিযানে বিকাশের মাধ্যমে সুন্দরবনের জলদস্যুদের নিকট অর্থ পাচারকারী ও তার সহযোগীসহ ২ জন গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারকচক্র, সুন্দরবন দস্যু মুক্ত ও তাদের সহযোগীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক
কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে র‌্যাবের অব্যাহত প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে র‌্যাব-৮, বরিশাল এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন ফয়লার হাট বাজারস্থ “মোল্লা টেলিকম” নামক দোকানে সুন্দরবনের বিভিন্ন জলদস্যু বাহিনী কর্তৃক আটক এবং জিম্মীকৃত জেলেদের নিকট হইতে আদায়কৃত মুক্তিপণের টাকা বিকাশ এজেন্টধারী মোবাইল এর মাধ্যমে লেনদেন হইতেছে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি উক্ত স্থানের কাছাকাছি পৌছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুদের প্রেরিত টাকা উত্তোলনের জন্য আসা কয়েকজন দৌড়ে পালানো কালে আভিযানিক দলটি ঘেরাও পূর্বক ০২ জনকে আটক করে। আটককালে তাদের নাম (১) মোঃ জিল্লুর রহমান (৩১), পিতাঃ মোঃ রশিদ মোল্লা, সাং-সন্তোষপুর, থানাঃ রামপাল,
জেলাঃ বাগেরহাট এবং তার সহযোগী (২) মারুফ বিল্লাহ ওরফে সাগর শেখ (১৮), পিতাঃ আব্দুর রহমান, সাং-মালিডাঙ্গা, থানাঃ রামপাল, জেলাঃ বাগেরহাট বলে জানায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন এর সহায়তায় ধৃত আসামীদের দোকান তল্লাশী করে ২৯টি মোবাইল সেট সীমসহ (বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশ এর কাজে ব্যবহৃত), ক্যাশ ইন/আউট রেজিষ্টার ও ট্রানজিট রেজিস্টারসহ মোট ১২টি রেজিষ্টার উদ্ধার করা হয়। উক্ত ধৃত ১নং আসামীর নামে একাধিক বিকাশ একাউন্ট ও ডাচ্ধসঢ়; বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্ট রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, সে দীর্ঘদিন যাবত জেলেদের জিম্মির পর মুক্তিপনের টাকা জলদুস্যদের কাছে বিকাশ করে আসছে। এ ব্যাপারে, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ও উদ্ধারকৃত মালামাল সমূহ বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় জমা দেয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন। র‌্যাব-৮ জানায়, বরিশালের এ ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।