অভিনেত্রী আশার মৃত্যুতে বাইক চালককে সন্দেহ পরিবারের

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

শুটিং শেষে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। এ ঘটনায় বাইক চালক শামীম আহমেদকে সন্দেহ করছে তার পরিবার। সন্দেহের জেরে শামীম ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) মামলা করেন আশার বাবা।

শামীমের বক্তব্যে গড়মিল পাওয়ায় তাকে সন্দেহ করছে আশার পরিবার। বাইক চালক শামীম প্রথমে বলেন, পথ ভুলে রাস্তায় ঘুরেছেন। পরে জানান, রাস্তা পার হতে গিয়ে আশা ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেছেন। শেষে জানান, রাস্তার মোড় ঘোরার জন্য তারা দুজনই মোটরসাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বাইক চালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক সোহান আহমেদ। তিনি জানান, পুলিশের কাছে আড়াই ঘণ্টার হিসেব দিয়েছেন চালক। এ সময়ে অভিনেত্রী আশাকে নিয়ে মিরপুর, টেকনিক্যাল মোড়সহ বেশ কিছু স্থান ঘুরেছেন। কিন্তু বনানী থেকে তারা কোথায় গিয়েছিলেন, কী করেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ জন্য বাইক চালককে রিমান্ডেও নেওয়া হতে পারে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ওদিকে, দুর্ঘটনার রাতেই শামীমের কথায় সন্দেহ হয়েছে বলে জানান আশার বাবা আবু কালাম। আশার মামা দুলাল দাবি করছেন, অভিনেত্রীকে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়েছে শামীম। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি আশার পরিবারের।

গাজীপুরের শুটিং থেকে ফিরছিলেন আশা। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে মাকে ফোন করে বনানীতে আছেন বলে জানান তিনি। ২০ মিনিটে মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসায় ফেরার কথা ছিল আশার। পরে রাত প্রায় দুইটার দিকে আশাকে বহন করা বাইকের চালক শামীম আশার পরিবারকে ফোন করে সড়ক দুর্ঘটনার কথা জানান।

ইডেন কলেজে আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন আশা। ছোটবেলা থেকেই জড়িত মিডিয়ার সঙ্গে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি। একাধিক একক নাটক, টেলিফিল্ম এবং ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন আশা।