অভিনন্দন বাংলাদেশ দলকে

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

অভিনন্দন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। অনেক অনেক অভিনন্দন। দারুণ একটি ম্যাচ জিতেছি আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে।

আমি গতকালকে প্রেডিকশন করেছিলাম যে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সমান সমান দল, কিন্তু তুলনা করলে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখব। অভিজ্ঞতার দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আছেন বেশি। পাকিস্তান দল হয়তো অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে যারা দলে আছেন, তাদের মধ্যে দুই একজন ছাড়া অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুব বেশি নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশে আছে সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলম থেকে শুরু করে ফারজানা হক পিংকির মতো সিনিয়র ক্রিকেটার, যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলছেন।

দিন শেষে যারা স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারে, এই ম্যাচগুলোতে যে মোমেন্টাম আসে সেটা ধরে রাখতে পারলে ম্যাচটা জেতা যায়। বাংলাদেশ সেটা করেছে। প্রথমেই বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রসঙ্গে আসি। তারা দারুণ ব্যাটিং করেছে, ২৩৪ রান। যেটা বাংলাদেশের পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান।

ওপেনার দুজনের কথা আলাদা করে বলতে হবে। শামীমা ও শারমীন দারুণ শুরু করেছেন। অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি শারমীন।

কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তিনি দলের জন্য যে ৪৪ রান করেছেন। উইকেট পড়তে দেননি। দারুণ একটি জুটি গড়েছেন। এটা ভালো লেগেছে।

ফারজানা যখন এসেছেন, তখন শারমীনের সঙ্গে ভালো খেলছিলেন। শারমীন আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানার সঙ্গে ভালো জুটি গড়েছিলেন ফারজানা। ১১ থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত রান একটু কম এসেছে। তখন মনে হয়েছিল বাংলাদেশ দুইশর বেশি করতে পারবে না।

কিন্তু পরে নিগার ও ফারজানা সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, নিগারের হাফ সেঞ্চুরি হয়নি। আজ তিনটি হাফ সেঞ্চুরি দেখতে পারতাম। ফারজানা, শারমীন ও নিগারের, যাই হোক হয়নি।

কিন্তু তারা যে অবদান রেখেছেন দলের জন্য, তা অনেক বেশি। বিশেষ করে ফারজানা ও নিগার যে জুটি গড়েছেন, সেটা না হলে ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামতে পারতো। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তারা জানেন, কীভাবে খেলতে হবে। ফারজানা অনেক দিন খেলেছেন। নিগার নতুন ও তরুণ অধিনায়ক, কিন্তু দারুণ ব্যাটিং করেন। আমি তার সঙ্গে অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি।

লেখক: জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার