দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩৮টা অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার করেছে র্যাব। এসব ওয়াকিটকি দিয়ে পুরো ‘পুরান ঢাকা’ নিয়ন্ত্রণ করতে কাউন্সিলর ইরফান। গণমাধ্যমের কাছে এমনটিই দাবি করেছে র্যাব।
অভিযান শেষে মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার করার দায়ে মো. ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম তাকে এ সাজা দেন। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুলকে ইসলামেও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে র্যাবের অভিযানে বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি সদৃশ যন্ত্রপাতি জাতীয় সরঞ্জাম পাওয়া যায়। র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সময় নিউজকে জানিয়েছেন, তারা ধারণা করছেন ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা এবং ঢাকা শহরে অবৈধভাবে কোনো সিগন্যালিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হতো।
সরেজমিনে বাড়ির ভিতরে ঘুরে র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতেন এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদ ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন। এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন। তবে এই জাতীয় যন্ত্রাদি সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া ব্যবহারের অনুমোদন নেই। এগুলো কোনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারিতেও রাখতে পারে না।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই তিনি তার বাসায় এই ভিপিএস ডিভাইসের মাধ্যমে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।