অবৈধভাবে মেয়াদ বৃদ্ধির পাঁয়তারা উত্তীর্ণ কমিটির

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

পিরোজপুরের নেছারাবাদ শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ ও কমিটি গঠনে অনিয়মের খবর সংবাদ মাধ্যমে এলে নড়েচড়ে বসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের আদেশক্রমে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবু সঞ্জিত কুমার দাসকে নতুন কমিটি গঠনের বিষয় মনোনয়ন প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে মতামত ও নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ্য কাগজপত্র পাঠাতে বলেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মনিরুজ্জামান।

জানা যায়, গত ২১/০৯/২০১৭ খ্রি. তারিখ কলেজটির সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি তাদের ০৩ (তিন) বছরের কার্যক্রম শেষ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক কলেজটি ১৬/০৮/২০১৭ খ্রি. তারিখ নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করে এবং ১,০০০/- টাকা ফি জমা নিয়ে অভিভাবক সদস্য পদে ফরম বিক্রি করেন এবং নিয়মানুযায়ী অভিভাবক প্রার্থীরা নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে কলেজে জমা দেন। কিন্তু তত্কালীন সভাপতির মুঠোফোনের নির্দেশে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত লিখিত নোটিশে গত ২৪/০৮/২০১৭ খ্রি. তারিখ নির্বাচনের যাবতীয় সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও বিধি মোতাবেক এডহক কমিটি গঠন না করে নির্বাচন বন্ধের পাশাপাশি সবার অগোচরে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর অশুভ তত্পরতা কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ সার্বিকভাবে ব্যহত হয়।

এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন— “আমার তিনটি সন্তান এই কলেজেই পড়াশুনা করেছে, কিন্তু বর্তমানের ন্যয় এমন দুর্যোগ অবস্থা কলেজটিতে পূর্বে কখনও দেখিনি। কলেজটির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য একটি নতুন ও স্বচ্ছ পরিচালনা কমিটি একান্ত প্রয়োজন”।

সাবেক কমিটির দাতা সদস্য বাবু বিধু ভুষণ দত্ত বলেন, “কলেজটির বর্তমান অবস্থা দেখলে খুবই কষ্ট হয়। তবে আমার বিশ্বাস, ভগবানের কৃপায় অমাবশ্যার অন্ধকার কাটিয়ে কলেজটি পুনরায় পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত হবে”।

তাছাড়া সাবেক মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি কোন মিটিং/রেজ্যুলেশন ছাড়াই সকল শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই চালুকৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহা পরিচালকের পরিপত্র অনুযায়ী কলেজ কর্তৃক প্রদেয় পি.এফ ভাতাসহ অন্যান্য সকল ভাতাদি স্থগিত করে দেন।

এ ব্যাপারে সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য ও শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারীর মাধ্যমে সাবেক মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন সমাধান পায়নি বলে জানান। বর্তমানে সকল শিক্ষকবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি তাঁদের সর্বোচ্চ অভিভাবক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়কে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।