শ্রীলংকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে জিততে হলে শেষের চাপটা জিততো হতো টাইগারদের। শেষ চার বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে করতে হতো ১২ রান। মাহমুদুল্লাহ সেই রান ১ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেলেন। ২ উইকেটের জয়ে নিশ্চিত করলেন ফাইনালের টিকিট।
এর আগে ২০১২ সালে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই ১৬ মার্চ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আবার সেই দিনে দুর্দান্ত এক জয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
শ্রীলংকার দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর তামিম-মুশফিকের ৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। কিন্তু তামিম ৪২ বলে ৫০ ও মুশফিক ২৫ বলে ২৮ করে ফিরে যাওয়ায় আবার চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
পরে মাহমুদুল্লাহ-সাকিবের ব্যাটে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাকিব ৯ বলে ৭ রান করে ফিরে গেলে মাহমুদুল্লাহর ওপরে দায়িত্ব পড়ে। সেই চাপ দারুণ সামলেছেন বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক। খেলেছেন ১৮ বলে ৪৩ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
তার আগে বাংলাদেশ হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাটে আসা লিটন দাস দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফিরে যান। তামিমের সঙ্গী হয়ে ওপেন করতে আসা লিটন দলীয় ১১ রানে আ্উট হন। স্কোরবোর্ডে অবশ্য তিনি কোন রান জমা করতে পারেননি। এরপর অফ ফর্মে থাকা সাব্বিরকে অধিনায়ক হয়ে আসা সাকিব আল হাসান তিনে ব্যাটে পাঠান। কিন্তু তিনিও আগে ব্যাট করতে এসে ভালো কিছু করতে পারেননি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটে নেমে শ্রীলংকা শুরুতেই ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।কিন্তু শুরুর চাপ দারুণভাবে সামলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। শ্রীলংকার হয়ে কুশল পেরেরা ৪১ বলে ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া অধিনায়ক থিসারা পেরেরা খেলেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
শুরুতে শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। দলীয় ১৫ রানে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় ওভারে গুনাথিলাকাকে আউট করেন সাকিব। কিন্তু এরপরে আর বল হাতে নেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপরে মোস্তাফিজ নিজের প্রথম ওভারে ফেরান কুশল মেন্ডিসকে। পরের ওভারে উপুল থারাঙ্গাকে রান আউটের পাশাপাশি শুন্য রানে ফেরার দাশুন থানাকাকে। তিনি দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান। এরপর ৪১ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান মেহেদী মিরাজ।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলংকা। শেষমেষ কুশল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা ম্যাচের ১৯ ও ২০ তম ওভারে ফিরে গেলে বাংলাদেশের সামনে ১৬০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২ ওভার বল করে ৯ রানে নেন ১ উইকেট।