অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

অবসরের বয়সসীমা বাড়ালে নতুনদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কমে যাবে, তাই সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা নতুন করে বাড়ানোর কোনো চিন্তা  নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেখা যাবে।’

পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭৪ সংশোধনের আগে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটা আরও দুই বছর বৃদ্ধি করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অবসরসীমা বাড়ানো হয়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর করে দিয়েছি।’

বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স ৫৯ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ ও বিচারপতিরা ৬৭ বছর বয়সে অবসরের সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি অবসরের বয়সসীমা শুধু বাড়ানোই হয় তবে নিচের স্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে এবং নতুনদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ অনেক হ্রাস পায়। তাই যত বেশি অবসরের বয়স বাড়ানো হবে তত চাকরিতে প্রবেশ কমে যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগের চেয়ে সেশনজট অনেক কমে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল, এখন তেমন সেশনজট নেই। ফলে চাকরিতে প্রবেশের জন্য এখন অনেক সময় পাচ্ছে। তাই এখন আর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।