অবশেষে সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ল্যান্ডিং পারমিশন (অবতরণের অনুমতি) পেল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তারা সৌদিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এর আগে সৌদি সরকার বিমানকে ১ অক্টোবর থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিলেও ল্যান্ডিং পারমিশন দেয়নি। এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে সৌদির সিভিল এভিয়েশনকে চিঠিও দিয়েছিল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র ল্যান্ডিং পারমিশন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমান সূত্র জানায়, বিমান ১ অক্টোবর থেকে সৌদির তিন শহরে সপ্তাহে আটটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। শহর তিনটি হচ্ছে জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদ।
দুই-একদিনের মধ্যে বিমানের ওয়েবসাইটে ১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আকামার মেয়াদ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এর মেয়াদ আরও ২৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আরবি সফর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চালু করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ফ্লাইট চালু হচ্ছিল না। এতে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গল ও বুধবার) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থিত সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে কারওয়ান বাজার মোড়ে বিক্ষোভ করেন সৌদি প্রবাসীরা।
ইতোমধ্যে অনেকের ভিসা ও আকামার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও অনেকের ভিসা ও আকামার মেয়াদ শেষ হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেন সৌদিতে যেতে পারেন, তাই আপাতত সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু করতে হবে দ্রুত। এরই মধ্যে সৌদিতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট অবতরণের অনুমতির ঘোষণা এলো।