#

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে অপহরণ হওয়ার ২৫ দিন পর তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) বিকেলে টেকনাফের দমদমিয়া গহীন পাহাড় থেকে র‍্যাব এবং পুলিশের দুইটি টিম তিনজনের গলিত দেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো নিখোঁজ তিন বন্ধুর বলে দাবি তাদের পরিবারের।

বিজ্ঞাপন

নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।

গত ২৮ এপ্রিল তাদের অপহরণের পর পরিবারের কাছে মারধরের ভিডিও পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবার টাকা দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা তাদের হত্যা করেছে।

বিজ্ঞাপন

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া থেকে সিএনজি যোগে টেকনাফ রওয়ানা দেন। টেকনাফ পৌঁছার আগেই তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল ডাকাত ইমরান, ইউছুপ, রুবেলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুইদিন পর তাদের হাত-পা বেঁধে উপর্যপুরি নির্যাতন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। তখন বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। এই ঘটনায় একজনকে কিছুদিন আগে আটক করে র‍্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে উদ্ধার অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া চেকপোস্ট এলাকার তিনটি পাহাড়ের পরের গহীন বন থেকে তিনজনের গলিত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো সুরতাহল প্রতিবেদন তৈরির জন্য টেকনাফ থানায় নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হবে।

অপহৃত ইউসুপের ছোট ভাই মো. ইউনুছ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বলেন, আমরা টেকনাফ থানায় আছি। মরদেহ এখনো থানায় আনা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, অপহরণের ২৫ দিন পর ছেলে ইমরানের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জেনে মা হামিদা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ছেলে অপহরণ হয়েছে জানতে পেরে এক থানা থেকে আরেক থানায় গিয়েছি। টেকনাফ থানার ওসির পা ধরে অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনো সুরাহা দেয়নি পুলিশ। এখন যে অভিযান চালানো হয়েছে, অপহরণের পরপরই তা চালানো হলে আমার ছেলে ও তার বন্ধুরা হয়তো বাঁচতো।’

এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিমের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদেবার্তা পাঠানোর পরও তার সাড়া না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন