র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক সহায়তায় তাদের আশ্রয়সহ সব ধরনের সুযোগ দেয়া হলেও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে দেয়া হবে না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাণিজ্য করার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবার মানবিকতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফে অস্থায়ী র্যাবের ক্যাম্প উদ্বোধন ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড,অবৈধ বাণিজ্য এবং মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকলে কাউকে রেহায় দেয়া হবে না।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সারা দেশের মানুষ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরাও সাধ্যানুসারে ক্রোকারিজ ও শিশুদের স্বাস্থ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও গোয়েন্দারা সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, মিয়ানমার হতে আগত রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। কেউ যাতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে এলাকার যানবাহন মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তার জন্য সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, র্যাবের মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মাহবুর রহমান, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন, র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।