সরকারি নির্দেশনার পরও যাত্রী না হওয়ায় বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকা রুটের কোনো লঞ্চই ছেড়ে যায়নি। তবে রাত ৮টার পর ঢাকামুখী যাত্রীরা জড় হয় এই নদীবন্দরে। অবশ্য বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকার উদ্দেশে।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এরপর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে ঢাকার উদ্দেশে বি এম এফ পরিবহনের কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সকালে যদি সরকার বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত দিতো তাহলে হাজার হাজার মানুষকে ট্রাকে করে ঢাকায় যেতে হতো না। আমাদের সামনে থেকে গেছে, আমরা শুধু দেখছি। এখনও যাত্রীর চাপ রয়েছে, বাস ছেড়েছি আমরা।
বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, সরকারের ঘোষণার পরও বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ৫শ টাকা করে মাওয়া পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে পরিবহণগুলো।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, সরকারের নির্দেশনা জেনেছি। কিছু বাস ঢাকার উদ্দেশে অলরেডি ছেড়ে গেছে।
অন্যদিকে লঞ্চ ছাড়ারও ঘোষণা আসার পরও পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ায় লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে লঞ্চ ছাড়া সম্ভব নয়। খুব অল্প সংখ্যক যাত্রী রয়েছে নদী বন্দরে।
সুরভী লঞ্চের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, প্রশাসন থেকে আমাদের লঞ্চ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে লঞ্চ ছাড়তে হলে আমাদের দুইজন প্রথম শ্রেণির সুকানী, দুইজন সারেং এবং দুইজন গ্রিজারসহ আরও কিছু লোক দরকার, কিন্তু তারা এই মুহুর্তে এরা নেই।
তাছাড়া একটি লঞ্চ ঢাকা যেতে ৬০ থেকে ৭০ ব্যারেল তেল দরকার হয়। যাত্রী না হলে আমরা কিভাবে ছাড়বো লঞ্চ। লোকসান করে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়।
যাত্রীরা বলেন, সরকার রাতের বেলা লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এখন আমাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে। লঞ্চঘাটে এসেশুনছি লঞ্চ ছাড়বে না।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। যাত্রী হলে লঞ্চ একটি হলেও ছেড়ে যাবে। নদীবন্দরে ঢাকা বরিশাল রুটের ৭টি লঞ্চ নোঙর করা রয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, ঢাকামুখী মানুষের সুবিধার্থে বাস ও লঞ্চ চলাচল কিছু সময়ের জন্য চালু করা হয়েছে। সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বাস ও লঞ্চ চালু করার জন্য।