অনুমতি পেলেও বরিশাল থেকে ছাড়েনি লঞ্চ, চলছে বাস

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

সরকারি নির্দেশনার পরও যাত্রী না হওয়ায় বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকা রুটের কোনো লঞ্চই ছেড়ে যায়নি। তবে রাত ৮টার পর ঢাকামুখী যাত্রীরা জড় হয় এই নদীবন্দরে। অবশ্য বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকার উদ্দেশে।

শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এরপর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে ঢাকার উদ্দেশে বি এম এফ পরিবহনের কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সকালে যদি সরকার বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত দিতো তাহলে হাজার হাজার মানুষকে ট্রাকে করে ঢাকায় যেতে হতো না। আমাদের সামনে থেকে গেছে, আমরা শুধু দেখছি। এখনও যাত্রীর চাপ রয়েছে, বাস ছেড়েছি আমরা।

বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, সরকারের ঘোষণার পরও বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ৫শ টাকা করে মাওয়া পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে পরিবহণগুলো।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, সরকারের নির্দেশনা জেনেছি। কিছু বাস ঢাকার উদ্দেশে অলরেডি ছেড়ে গেছে।

অন্যদিকে লঞ্চ ছাড়ারও ঘোষণা আসার পরও পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ায় লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে লঞ্চ ছাড়া সম্ভব নয়। খুব অল্প সংখ্যক যাত্রী রয়েছে নদী বন্দরে।

সুরভী লঞ্চের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, প্রশাসন থেকে আমাদের লঞ্চ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে লঞ্চ ছাড়তে হলে আমাদের দুইজন প্রথম শ্রেণির সুকানী, দুইজন সারেং এবং দুইজন গ্রিজারসহ আরও কিছু লোক দরকার, কিন্তু তারা এই মুহুর্তে এরা নেই।

তাছাড়া একটি লঞ্চ ঢাকা যেতে ৬০ থেকে ৭০ ব্যারেল তেল দরকার হয়। যাত্রী না হলে আমরা কিভাবে ছাড়বো লঞ্চ। লোকসান করে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়।

যাত্রীরা বলেন, সরকার রাতের বেলা লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এখন আমাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে। লঞ্চঘাটে এসেশুনছি লঞ্চ ছাড়বে না।

বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। যাত্রী হলে লঞ্চ একটি হলেও ছেড়ে যাবে। নদীবন্দরে ঢাকা বরিশাল রুটের ৭টি লঞ্চ নোঙর করা রয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, ঢাকামুখী মানুষের সুবিধার্থে বাস ও লঞ্চ চলাচল কিছু সময়ের জন্য চালু করা হয়েছে। সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বাস ও লঞ্চ চালু করার জন্য।

আইন - আদালতজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago