সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সংকট নিরসনে অনশন ভেঙে বা অনশনরত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি সিলেট যেতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা চাইলে শিক্ষামন্ত্রী তার প্রতিনিধি পাঠাবেন। শিক্ষার্থীরা যখনই চাইবে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল শাবিপ্রবিতে যাবেন। যেকোনো সময়, যেকোনো দিন শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি শাবিপ্রবিতে যেতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা চাইলে আলোচনার জন্য আমার প্রতিনিধি দল সিলেটে যাবে। আর তারা যদি চায় আমার সঙ্গে আলোচনায় বসবে, তবে সে দরজা খোলা রয়েছে। যেকোনো সময়, যেকোনো দিন তারা আমার সঙ্গে বসতে পারবে। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই সমাধান চাই, তার জন্য আমাদের আলোচনায় বসা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সব সময় দ্বার খোলা রয়েছে। তারা যখন চাইবেন তখনই আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আহত ও অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসতে চেয়েও পিছিয়ে গেছে। এতে এক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাদের আন্দোলনের পেছনে কেউ কাজ করছে কি না বা কারো ইন্ধন রয়েছে কি না, আমাদের তা জানা নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তার আগে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুরুতে শিক্ষার্থীদের এক ধরনের দাবি থাকলো, পরে ভিসিকে সরানোর দাবিতে অনশন করছে। সব বিষয় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে চলমান পরিস্থিতির সব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তারা সেসব বিষয় তুলে ধরেছেন।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৪ বছর ধরে বর্তমান ভিসি সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। এ সময় তার নেতৃত্বে অনেক ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। গবেষণাসহ নানান দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়েছে। পরে কেন শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশন করছেন সেটি নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয়ে অসন্তোষ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সেটি সমাধান করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ফেরাতে শিক্ষকরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের পক্ষ থেকেও সে চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করে অথবা অনশনরত অবস্থায় তাদের প্রতিনিধিরা এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। তাদের যৌক্তিক দাবি থাকলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ভিসিকে সরালে সমস্যার সমাধান হবে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সন্তান সমতূল্য। তাই উভয়েরই যৌক্তিক আচরণ করা প্রয়োজন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ্, ইউজিসি সদস্য ড. আলমগীর এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ডুয়েটের উপাচার্য হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।