অনশনে অসুস্থ দুই শতাধিক শিক্ষক

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রোদ, বৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা করে নন-এমপিও শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছেই। টানা ১০ দিনের অনশনে বাড়ছে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যাও। বুধবার পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ৫০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং একজন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে গত ২৩ জুন থেকে সারাদেশে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘পাঠদান বন্ধ কর্মসূচি’ অব্যাহত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ২৫ জুন থেকে এ অনশন শুরু হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কের উল্টো দিকে ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনে’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। একই সঙ্গে বুধবার শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির ২৫তম দিন পার হয়। এদিন অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, দ্রুত এ বিষয়ে কার্যক্রম নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করতে এরই মধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ জারির কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতিমালা অনুসরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিধিমতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, বর্তমান নীতিমালা অনুসারে এমপিও দিলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়ে যাবে। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছিল। এ বিষয়ে বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কিছু জানানো হয়নি।

গত ১০ জুন থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।