মোস্তাফিজুর রহমান নিলেন ৪ উইকেট। দুই স্পিনার নাহিদুল ও তাইজুল নিলেন ২টি করে উইকেট। ২টি রান আউট।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিং পারফরম্যান্সে জেমকন খুলনা ১৭.৫ ওভারে অলআউট মাত্র ৮৬ রানে। এখন পর্যন্ত যা টুর্নামেন্টের দলীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগে শেষ ম্যাচেই গাজী গ্রুপ ৮৮ রানে অলআউট করেছিল বেক্সিমকো ঢাকাকে।
মোস্তাফিজ ৪ উইকেট নিয়ে গাজী গ্রুপের নায়ক হলেও খুলনা শিবিরে শুরুর ধাক্কা দিয়েছেন স্পিনার নাহিদুল। ডানহাতি স্পিনারের প্রথম ওভারে সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন এনামুল হক বিজয়। মিড অনে বল পাঠিয়ে রান নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেও সাকিব সাড়া দেননি। ৬ রানে শেষ হয় বিজয়ের ইনিংস। এরপর সাকিব আলগা শটে নাহিদুলের বলে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেকের হাতে। এবার সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।
নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকার খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বাজে শটে এলবিডব্লিউ হন ১ রানে। এরপর তাইজুল জোড়া আঘাত করেন খুলনা শিবিরে। আগের দুই ম্যাচে রানের খাতা না খোলা ইমরুল এবার ২১ রানে স্লগ সুইপ করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। অমি ১৪ রানে স্ট্যাম্পড হন বাঁহাতি স্পিনারের বলে।
নতুন বলে মোস্তাফিজ করেছিলেন ১ ওভার। রান দিয়েছিলেন ২। ১৪তম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজ ভয়ংকর হয়ে উঠেন। ৩ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। ৮ বলে ১১ রান করা শামীম মোস্তাফিজের স্লোয়ার উড়াতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন। এরপর রিশাদ (০), আরিফুল হক (১৫) ও আল-আমিন (০) একে একে সাজঘরে ফেরেন।
মাঝে আরিফুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট শহীদুল (৫) । লোয়ার অর্ডারে উইকেট নিলেও মোস্তাফিজের বোলিং ছিল অসাধারণ। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ মেনে বোলিং করেছেন। বোলিংয়ে ছিল বৈচিত্র্য। নিয়মিত স্লোয়ারের সঙ্গে বাউন্স, শর্ট বল করেছেন।