অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

:
: ৫ years ago

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে অবস্থিত হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজাকে লাঞ্ছিত করেছেন ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর মামা নজরুল মৃধা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নজরুল মৃধার শাস্তি দাবি করেন। এদিকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করায় নজরুল মৃধার শাস্তি দাবি করে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্রীরা। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে মুজিব সড়ক হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘নজরুল মৃধা কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের হাতে তুলে দেন শিক্ষকরা।

নজরুল মৃধা ফরিদপুরের শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। এক সময় হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক সদস্য ছিলেন তিনি।

জেলা প্রশাসককে দেয়া অধ্যক্ষের অভিযোগ থেকে জানা যায়, নজরুল মৃধার ভাগনি ওই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে যথাসময়ে উপস্থিত না হয়ে এবং পাঠদান না করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছিল। এজন্য গত বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষক মো. মামুন রশিদ ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করেন। পরে গত শনিবার ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ডেকে শিক্ষার্থীর বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নজরুল মৃধা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষক মামুনকে গালাগালি করেন এবং অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। আগামীতে এমন ঘটনা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হবে না বিধায় এ বিষয়ে সুবিচার ও প্রতিকার চাওয়া হয় ওই অভিযোগে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নজরুল মৃধা বলেন, মামুন রশিদ নামের ওই শিক্ষক তার ভাগনিসহ অন্য ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়াসহ অশোভন আচরণ করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানেন না এবং জাতির পিতাকে গালাগালি করে শ্রেণিকক্ষে কথা বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবাদ করতে গেলে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষকের পক্ষ নেয়ায় তিনি রেগে যান। তবে অধ্যক্ষকে রাগারাগি করলেও তার গায়ে হাত দেননি বলে নজরুল মৃধা দাবি করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, এ ব্যাপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শনিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।