অধিনায়কের এসব নিয়ে বলা উচিত: মাশরাফি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

এনামুল হক বিজয়রা হারিয়ে গেছেন। সৌম্য সরকারের মতো খেলোয়াড়ও হারিয়ে যাওয়ার পথে। তাদের বিকল্প হিসেবে যাদের আনা হচ্ছে, তারাও থিতু হতে পারছেন না। এক-দুই সিরিজ দেখে বাদ দেওয়া হয়েছে সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারীদের।

পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের এভাবে ছুড়ে ফেলে নতুনদের চেষ্টা করা আবার নতুনদের ছুড়ে ফেলা, এই সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশ দলের বের হতে হবে বলে মনে করেন দেশের সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

২০১৫ সালের দিকে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল হঠাৎ সমীহের কাতারে চলে আসে। ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দারুণ খেলে বাংলাদেশ। তারপর এই ফরমেটে অনেকটাই দাঁড়িয়ে গেছে জাতীয় দল।

কিন্তু মাশরাফি নেতৃত্বে থাকার সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকারদের যেভাবে আগলে রেখেছেন। এখন অনেক ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যাচ্ছে না। অধিনায়কের এ ক্ষেত্রে কী করার আছে? আজ (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া মাশরাফির কাছে ছিল এমন প্রশ্ন।

জবাবে মাশরাফি বোঝানোর চেষ্টা করেন, সৌম্যর মতো পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের অফফর্মের কারণে একদম ছুড়ে ফেলা ঠিক হয়নি। যদি একটি থিতু দল দাঁড় করানো না যায়, তবে সামনের দুটি বিশ্বকাপে (এ বছর টি-টোয়েন্টি, ২০২৩ সালে ওয়ানডে) ভালো করা কঠিন হবে।

মাশরাফি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর থেকে আমাদের ওয়ানডে দলটা ভালো করা শুরু করেছে। সেই সময় কিছু চেঞ্জ আসছিল। সৌম্য, লিটন আসলো। মোস্তাফিজ আসলো। তাসকিন তার কিছুদিন আগে এসেছে। তারপর কিন্তু আমরা ভালো করা শুরু করি।’

সৌম্যকে নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘সৌম্য দেড়শ করেছে নিউজিল্যান্ডে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ৮২ আছে, ফিফটি আছে, পাকিস্তানের বিপক্ষেও রান করেছে। আমাদের যে সমস্যাটা হলো, সেটেল প্লেয়ারকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। আবার নতুন আনা হচ্ছে।’

মাশরাফি যোগ করেন, ‘নতুনরা অবশ্যই আসবে। কিন্তু একের পর এক নতুন খেলোয়াড় আসা, আবার একে ভালো লাগছে না ওকে নিয়ে কথা ওঠা। সামনে দুটি বড় বিশ্বকাপ আসছে। যদি আনসেটেলড প্লেয়ার নিয়ে যান, তবে কঠিন হবে।’

মাশরাফি মনে করেন, দিনশেষে সব কিছুর জবাবদিহি অধিনায়ককেই করতে হয়। তাই দল কেমন হবে, কে খেলবে না খেলবে-এই বিষয়গুলো নিয়ে অধিনায়কের চুপ থাকলে হবে না।

তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি, অধিনায়কের এক্ষেত্রে কথা বলা উচিত। দিনশেষে অধিনায়ককেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে হয়। জবাবদিহি তাকেই করতে হয়। দিনশেষে অধিনায়কত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অধিনায়কের অবশ্যই কথা বলা উচিত, শুনুক আর না শুনুক।’

‘মাঠে যে ১১ জন নিয়ে যাচ্ছি, বেশিরভাগ যেন আমার (অধিনায়কের) চয়েজ হয়। কারণ বোলিং চেঞ্জ আমি করাব, মাঠে প্ল্যান আমাকেই করতে হয়। এমন যেন হয়, সব জায়গায় না হলেও একাদশে বেশিরভাগ খেলোয়াড় যেন আমার চয়েজ হয়। যাতে করে ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দিতে পারি, আমার চিন্তাটা কী ছিল, কী করেছি। আমি ভুল হতে পারি, তবু দিনশেষে যেন আমার সন্তুষ্টি থাকে যে নিজের মতো করতে পেরেছি’-শেষ করে মাশরাফি।