অধরা সাফল্যের খোঁজে

:
: ৭ মাস আগে

উপমহাদেশের বাইরে নিউ জিল্যান্ড একমাত্র দেশ যেখানে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভবান না হওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না, সেখানে নিউ জিল্যান্ড একটু বেশিই উদার।

 

২০০১ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৯ বার তাসমান পাড়ের দেশটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সফর করেছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডে মাত্র দুইবার করে সফর করেছে বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণ ও নয়নাভিরাম দেশ নিউ জিল্যান্ডে দশম সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে এক বহর উড়াল দিয়েছে শনিবার রাতে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সোমবার যাবে দ্বিতীয় বহর।

দেশটিতে যতবার বাংলাদেশের সফর ততবার জমা হয় মন খারাপের গল্প। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ হয় নতুন নতুন দুঃস্মৃতি। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত ষোলো ওয়ানডে খেলে একটিও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি হয়েছে নয়টি। জয় সেখানেও অধরা।

 

২০০৭ সালে রঙিন পোশাকে যে মিশন শুরু হয়েছিল ২০২৩ এ এসেও অজেয়। রঙিন পোশাকে কিউই দূর্গ ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০২২ সালের আগে কোনো সাফল্য ছিল না। সেবার টেস্ট জিতেছিল মাউন্ট মঙ্গানুইতে। এবারের সফরে কোনো টেস্ট নেই। আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। রঙিন পোশাকে ছয় ম্যাচে একটি জয় পেলেও সাফল্যের পাতায় নতুন অধ্যায় শুরু হবে। অধরা সেই সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ।

জয় দিয়ে বছর শেষ করার অপেক্ষায় বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই সিরিজে তাকে দেওয়া হয়েছে দুই ফরম্যাটের দায়িত্ব, ‘ওখানে (নিউ জিল্যান্ডে) আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে, আমরা ওখানে কীভাবে ম্যাচ জিততে পারব। সিরিজ জিততে পারি। ওরকমই টার্গেট হওয়া উচিত। বছরটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি তাহলে সামনের বছরের জন্য ভালো হবে।’