অদ্বিতীয় রোমান্টিক নায়ক

:
: ৭ years ago

একটা সময় আমার সঙ্গে তার অনেক কাজ হয়েছে। তবে আমি ছাড়াও বশীর ভাই, ফারুক ভাই, হাদী ভাই, মাহমুদুন নবী, ফারুক ভাই বলতে গেলে সবার কন্ট্রিবিউশন ছিল তার ছবিতে এবং গানে।

অনেক স্মৃতি তাকে ঘিরে। তিনি ছিলেন এককথায় সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। জীবদ্দশার শেষ অবধি কোনো কলঙ্ক ছিল না তার জীবনে। তিনি মাঝে মাঝে বলতেন, ‘এখানেই স্টার্ট করেছি এবং এখানেই শেষ হবে। ’ যখন ১০০ ছবি করলেন তখনই তিনি নায়করাজ রাজ্জাক উপাধি পান। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী বা খোকা ভাই তাকে নায়করাজ উপাধিটি দেয়। তার সঙ্গে আমার অনেক কাজ হয়েছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তার সঙ্গে ‘বাবা কেন চাকর’ ছবিতে কাজ করার। সুরকার ছিল ইমন সাহা। একটা সময় আমরা একটা গান করতাম চার-পাঁচ দিন ধরে। তিনি এবং তার নায়কোচিত চেহারায় সবার মন জয় করে হয়েছিলেন অদ্বিতীয় রোমান্টিক নায়ক। তিনি একাধারে ছিলেন একজন হ্যাপি বাবা, হ্যাপি নানা, হ্যাপি দাদা এবং হ্যাপি হাসব্যান্ড। তিনি জীবনের বাকি সময়ে ধর্ম-কর্ম নিয়েই ছিলেন। মারা যাওয়ার আগেও তিনি ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছিলেন। ‘তিনিই একমাত্র হিরো যার চোখে-মুখে ছিল অভিনয়। ’ এ কথা বলেছিলেন ফরিদুর রেজা সাগরের মা। তবে এটা আমার অভিমত যে, তিনি যদি আরও এক বা দুই মাস বেঁচে থাকতেন তবে সেটা সবার জন্য কষ্টের হতো। তিনি মাত্র ৪৫ মিনিট সবাইকে কষ্ট দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে ‘আগন্তুক’ ছবিতে তার একটি গান করেছিলাম- ‘বন্দী পানির মতো মনটা কেঁদে মরে’। আমি খুবি ভাগ্যবান তার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।