অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে চরবাসী

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার সীমান্তবর্তী হাকিমুদ্দিন পল্টুন ঘাট দিয়ে প্রায় ১০-১২ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ট্রলার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে চলাচল করছে। আগে জন প্রতি ৫০ টাকা ভাড়া নিলেও তা বাড়িয়ে ১০০শত টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ চরবাসী।
সূত্রমতে জানাযায়, উপজেলার হাকিমুদ্দিন পল্টুন লঞ্চ ঘাট হতে প্রতিদিন সকাল ১০টায় ও বিকাল ৩টায় উত্তাল ড্রেনজার জোন মেঘনা পাড়ি দিয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার সিডার চর, নাগর পাটোয়ারী চর, চর জহির উদ্দিন হানিফ ব্যাপারী খাল, বরিশালিয়া খালে ছোট ছোট ১০ হতে ১২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ট্রলার চলাচল করছে।
পূর্বে জন প্রতি ৫০ টাকা ভাড়া নিলেও চরের মানুষগুলো কে জিম্মি করে সফিজ মাঝি, সফিজল মাঝি, কাঞ্চন মাঝি, হারুন মাঝি, খলিল মাঝি, আ: মন্নান মাঝি, তালুকাদার মাঝি, হানিফ ব্যপারী ও রফিক মহাজন সহ তাদের সহযোগিরা জন প্রতি ১০০শত টাকা করে জোর পূর্বক ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি গরু’র ভাড়া ৩শত টাকা এবং ছাগলের ভাড়া আদায় করছে ১শত হতে ১৫০ শত টাকা। প্রতিদিন এ রুঢে ৬শত হতে ৭শত যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
জন প্রতি ১শত টাকা করে ভাড়া নিলে প্রতিদিন ৬ লক্ষ হতে ৭ লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় হয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছেন চরবাসী। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় একটু পর পর ৪টা ট্রলার যাত্রী বোঝাই করে হাকিমুদ্দিন পল্টুন লঞ্চ ঘাট হতে ড্রেনজার জোন মেঘনা দিয়ে সিডার চর, নাগর পাটোয়ারী চর, চর জহির উদ্দিনের উদ্দেশ্য যান। যাত্রীদের সাথে শিশুরাও রয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সত্বে চরের একাধিক যাত্রী জানান, মেঘনা পাড়ি দিতে চরে আসতে ৫০ হতে ৬০ মিনিট লাগে। প্রতিটি ট্রলার ও নৌকার ৩শত ৫০ টাকা হতে ৪শত টাকা খরচ হয়। আমরা ৪০ হতে ৫০ জন যাত্রী থাকি জন প্রতি ৫০ টাকা করে নিলেও অনেক লাভ হয় মাঝিদের।
কিন্তু ওরা সব মাঝি’রা এক হয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জন প্রতি ১শত টাকা করে জোর পূর্বক ভাড়া নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই চওড়া হয়ে উঠেন তারা। একজন ব্যক্তি প্রয়োজনের তাগিদে একবার এসে আবার চরে ফিরে গেলে তার ২শত টাকা ভাড়া দিতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ট্রলারের মাঝি’রা জানান, তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় তাদের ভাড়া ভাড়ানো হয়েছে।
বিআইডবিøউটিএ ভোলা সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ১৫ মার্চ হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনা ডেঞ্জার জোন হিসাবে চিহিৃত করে ওই রুঢে ছোট ছোট লঞ্চই এসময়ে চলাচল নিষিদ্ধ। আর নৌকা আর ট্রলার তো একেবারেই নিষিদ্ধ।
ওই সকল অবৈধ ট্রলার নৌকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, মেঘনা ড্রেনজার জোনে ঈদের পূর্বে ছোট লঞ্চ চলাচলে বন্ধের চিটি পেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। বিআইডবিøউটিএ এ সকল অবৈধ ট্রলার, নৌকার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।