অতিরিক্ত কমিশনারকে তলব : স্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা

:
: ৬ মাস আগে

স্ত্রী বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (তবলা মার্কা) স্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনাজ পারভীন এক নোটিশে তাকে বৃহস্পতিবার বিকালে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ২ জানুয়ারি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে, আপনি হামিদুল হক মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত আছেন। আপনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির স্বামী। আপনি একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং চাকরি থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে এলাকায় আপনার স্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। আপনার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনি এলাকা বিপর্যস্থ করে রেখেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনি প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যা আপনার পেশাগত অসদাচরণের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ১৪ (১)(২) বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

‘বিধি মতে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না, তা ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

জানা গেছে, বগুড়া-১ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান গত ২৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহাদী আলম লিপির স্বামী সরকারি সুবিধাভোগী হামিদুল আলম মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)। শাহাজাদী আলম লিপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে তার পক্ষে কাজ করিয়ে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তার ক্ষমতা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছেন। যা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ১৪ অনুচ্ছেদের (১) নং উপ-অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।’

এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’