অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার মামলায় চারজন ও রমনা থানায় করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) মো. আ. হান্নান বাদী হয়ে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নং-৩১। এ মামলার চার আসামি হলেন- নাইমুর রহমান তানজির (১৯), শহিউল্লাহ (২৬), ফারুক ও রায়হান।

মামলায় অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার্থী সংগ্রহপূর্বক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

একইদিন (২৪ জানুয়ারি) রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান। মামলা নং-২১। ওই মামলার ছয় আসামি হলেন- আল আমিন আজাদ রনি (৩০), রাকিবুল হাসান (২৬), হাসিবুল হাসান (২৪), নাহিদ হাসান (২৬), মাহবুবা নাসরিন রুপা (৩১), রাজু আহমেদ (২৪)।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, ডিবির এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত চক্রের সাত সদস্য ও তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৬টি ইয়ার ডিভাইস, ৬টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, ৫টি ব্যাংকের চেক, ৭টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্টফোন, ৬টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া ৩ সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।