সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আর নেই। রোববার (১৪ জুলাই) সকালপৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ২০ মার্চ এইচ এম এরশাদের ৯০তম জন্মদিন পালিত হয়। এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি থেকে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপিকে আহ্বায়ক এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়কে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জন্মদিবস উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়।
ওইদিন সকাল থেকেই পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগানে-স্লোগানে উৎসবমুখর করে তোলেন ইমানুয়েলস মিলনায়তন। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে অনেকে ফুল ও কেক নিয়ে হাজির হন। দুপুর ১২টার দিকে এরশাদ মিলনায়তনে পৌঁছালে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ১২টার কিছু পরে ৯০ পাউন্ডের কেক কেটে নিজের জন্মদিনের উৎসবের সূচনা করেন এরশাদ।
ওই অনুষ্ঠানে এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিল না। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলেছি, তাই শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি।’
‘আমার মতো নির্যাতিত নেতা আর কেউ নেই’ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়ে না, সে দলকে কেউই ধ্বংস করতে পারবে না। নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো, যাতে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নয় বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন, তা কেউ ভাঙতে পারবে না।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে।’
অনুষ্ঠানে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘আজ শপথ নেয়ার দিন। আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বই।’ তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। জি এম কাদের পার্টি চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।